শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতির এক নতুন দিগন্ত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২০ পিএম

কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর। দিনে দিনে এ সমুদ্র বন্দর থেকে মুনাফা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পায়রা বন্দরে ছুটে আসছে দেশী-বিদেশী লগ্নীকারকরা, উৎসাহিত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এ জয়যাত্রা শুরু। সেই থেকে খুলে যায় অর্থনীতির তৃতীয় দরজা। পায়রা বন্দরে শুরু হয় আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। শুরু থেকে এ পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ১৫০টি দেশী-বিদেশী জাহাজ পণ্য খালাস করেছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আয় হয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। রাবনাবাদ চ্যানেলে প্রতিনিয়ত লাইটার জাহাজ পণ্য আনা-নেয়ার কাজ করছে, পুরো বন্দর জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক উদ্যম ও কর্মচাঞ্চল্যতা। এ বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রশাসনিক ভবন, সার্ভিস জেটি, পল্টুন, সিকিউরিটি ভবন, ওয়্যার হাউস, পানি শোধনাগার, চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ যা এখন প্রায় শেষের পথে।

এক সময় যে এলাকায় মানুষ জনের আনাগোনা ছিলো না। দিনের বেলাতেও শোনা যেতো শিয়ালের ডাক। সেখানে এখন আলোকিত জনপদ। দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে সমান তালে। কুয়াকাটাগামী মহাসড়ক থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক নির্মাণ হয়েছে। এ জনপদের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের তথা দেশের উন্নয়নে অর্থনৈতিক জোগানে এগিয়ে নিচ্ছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। এগিয়ে চলছে পায়রা সমুদ্র বন্দরের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ছয়টি প্যাকেজের কাজ। ইতোমধ্যে তিনটি প্যাকেজর কাজ শেষ। পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে পাঁচশতাধিক পরিবারকে। করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়ন কাজ। ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রার রামনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় নির্মাণ হচ্ছে প্রথম টার্মিনাল এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড।

প্রথম টার্মিনাল এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চীনের সিএসআইসি ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে ২০২০ সালের ৩০ জুন চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ প্রথম টার্মিনাল নির্মিত হলে পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি মাদার ভেসেলে ভিড়তে পারবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার ২০৩ টাকা। কাজটি ৩০ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা রয়েছে। কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মিত হলে বছরে প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার টিইউস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা যাবে। এছাড়া চ্যানেলের নাব্যতা বাড়াতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং-এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কন্টেইনার ইয়ার্ডের কাজের আওতায় তিন লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, ওয়ার্কশপ, ফায়ার স্টেশন, কন্টেইনার ফ্রেইড স্টেশন, গেস্ট হাউস, ফুয়েল স্টেশন, ভূ-গর্ভস্থ পানির আধার সহ পাম্প হাউজ নির্শিত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
MD SAMIM ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৩৬ এএম says : 0
আমি চাই আরো উন্নত হউক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন