শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাজধানীর পল্লবী থেকে একসঙ্গে ৩ ছাত্রী উধাও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১২ পিএম

রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থেকে কলেজপড়ুয়া তিন বান্ধবী একসঙ্গে উধাও হয়েছেন। বাসা থেকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও মূল্যবান সামগ্রী। পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজে পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো দাবি করেছে, বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রলোভিত করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এজন্য তারা বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসগুলো নিয়ে পালিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি -ব্লক ১৮ নম্বর লাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ছাত্রীরা হলেন কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা প্রত্যেকে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া নামের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে জিনিয়া টিকটকে পরিচিত মুখ। আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর। পল্লবী থানার (এসআই) উপ পরিদর্শক সজিব খান গণমাধ্যমকে বলেন, একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তরিকুলকে আটক করেছি। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পল্লবী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম।

অভিযোগে মাহমুদা জানান, তার মেয়ে নিসা ও মেয়ের দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘর ছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। বের হওয়ার সময় প্রত্যেকে বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে গেছে।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিসার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বোন ও তার বান্ধবীদের বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এজন্য তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সবাই কলেজ ড্রেস পরে বের হয়। কলেজের ব্যাগ ছিল সঙ্গে। আমাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে তরিকুল আমার বোনের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন।

তরিকুল তাকে (নিসা) বলতেন, সে অনেক বড় হ্যাকার। আর অনেক বড় কোম্পানির মালিক। আমেরিকা লোক পাঠায়। আমার বোন নিসা বাসায় এসে আমাকে বলেছে, আপু তরিকুল তোমাকে তার কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার পদে চাকরি দেবে বলে আমাকে বলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শাহ্ মান্না ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:৩৩ এএম says : 0
দ্রুত সন্ধান চাই এলাকাবাসী এবং প্রকৃত আসামীদেরকে যত দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন