শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ঋণ জর্জর বার্সায় চোখ দুবাইয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

মাঠের ভেতরে ও বাইরে- সব জায়গাতেই কঠিন সময় কাটছে বার্সেলোনার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শেষ ষোলোয় ওঠার পথটা খুব কঠিন করে ফেলেছে রোনাল্ড কোমানের দল। এদিকে মাঠের বাইরে অন্তত খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার তালিকায় বার্সার আগের সেই শৌর্য-বীর্য আর নেই। আর্থিক দেনায় জেরবার কাতালান ক্লাবটি। লা লিগা কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া বেতনসীমার মধ্যে থাকার বাধ্যবাধকতার জন্য লিওনেল মেসিকেও ধরে রাখতে পারেনি বার্সা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর অধীনে থাকা বোর্ডের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বেশ বড় অঙ্কের দেনায় ডুবে আছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। এ সংবাদ প্রায় কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু তবে এ দেনার পরিমাণটা এতোই যে রীতিমতো দেউলিয়া হওয়ার অবস্থায় রয়েছে ক্লাবটি। দেনার পরিমাণ প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর আর্থিক ঘাটতির কারণেই চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা তাদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় মেসিকে ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি এর আগে সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করে বললেও এ নিয়ে বিতর্ক কমেনি। অনেকেরই ধারণা লাপোর্তাই ধরে রাখতে চাননি মেসিকে। ক্লাবের সাবেক সভাপতি হতে শুরু করে অনেক সাবেক পরিচালক সরাসরি লাপোর্তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আর সমর্থকরা তো রয়েছেনই।
করোনার কারণে গত মৌসুমে ক্লাবগুলো বেশির ভাগ ম্যাচ গ্যালারিতে দর্শক ছাড়াই খেলেছে। এতে ক্লাবগুলোর আয় কমেছে এবং তাতে লা লিগার ক্লাবগুলোর জন্য বেঁধে দেওয়া বেতনসীমাও কমেছে। আর্থিক অবকাঠামো তথৈবচ হয়ে পড়ায় বার্সার বেতনসীমা গত মৌসুমের তুলনায় এবার কমেছে ২৮৪.৭৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা)। এবার বার্সার বেতনসীমা মাত্র ৯৭.৯৪ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৯৭৭ কোটি টাকা)।
এমন অবস্থায় কাতালান ক্লাবটির পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষন করেছে দুবাই ভিত্তিক এক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। মিডল ইস্ট মনিটর-এর খবর এমনই। নাম প্রকাশ্যে না এলেও ‘ঐ প্রতিষ্ঠান’ এরই মধ্যে বার্সেলোনাকে অর্থনৈতিক খাঁদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে সহজ শর্তে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে ইচ্ছুক। যাতে করে তারা মহামারিকালের ক্ষতি পুষিয়ে মাঠের লড়াইয়ে শক্তি অর্জন করতে পারে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে গালফ দুনিয়ার আগ্রহ নতুন নয়। এরই মধ্যে বেশ কিছু নামী-দামী ক্লাবের মালিকও আরব ধনকুবেররা। আবু ধাবি এরই মধ্যে মানচেস্টার সিটির মালিকানা কিনে নিয়েছে, সউদী আরবও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের স্বত্ব কিনে নিতে। আর ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের প্রতি আগ্রহী খোদ সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন