বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মাদকসেবীর যে সম্মান রাজনীতিবিদদেরও সেটা নেই: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২১, ৯:০০ পিএম

বর্তমান সরকার রাজনীতির সকল শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালের গুহা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। রাজনীতিতে একটা শৃঙ্খলা ও সম্মানবোধ ছিলো। কিন্তু এই সরকার সকল শৃঙ্খলা ও নিয়ম নষ্ট করে ফেলেছে। এখন মাদকসেবীর যে সম্মান রাজনীতিবিদদের সেটা নেই। জেলখানায় চোর ডাকাত সহ নানা ধরনের লোক আছে। সেখানে আমাদের মতো রাজনীতিবিদদের রাখা হয় তাদের সাথে। এটা কি নিপীড়ন নয়? শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না রচিত “কারাগারে বাইশ মাস” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমানের লেখা বই পড়ে এবং তার সাথে কারাগারে অবস্থানের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কারাগারে মান্নার সাথে যেমন আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিদারুণ, নিষ্ঠুর এবং নিন্দনীয়। দেশে কেবল ভিন্নমতের রাজনীতিবিদদের নির্যাতন করা হচ্ছে। অথচ উন্নত রাষ্ট্রে কারাগারকে বলা হয় সংশোধনাগার। আর বাংলাদেশের কারাগারের ভয়ংকর পৈশাচিক রুপ। তারা এতোটা ভীতু যে কারাগারের ভেতরে পড়ার জন্য বইও নিতে দেয় না। আমি কারাগারে থাকাকালে বিখ্যাত লেখক দস্তয়ভস্কির “ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট” শীর্ষক বইটি নিতে দেয়নি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের কারাগারে জীবন ও সেখানকার নিত্যদিনের ঘটনা সমূহ মান্নার বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আজকে দেশে গণতন্ত্রের যে সংকট সেই সংকটে মান্নার যে ভূমিকা রাখতেন সেই ভূমিকা দমন করতেই মান্নাকে আটক করা হয়েছিল।

রিজভী বলেন, তবে বইয়ের ভেতরে জিয়াউর রহমান ও স্বৈরাচার এরশাদকে নিয়ে যে তুলনা করা হয়েছে এটা ঠিক নয়। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ কখনোই এক হতে পারে না। কারণ জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার। তিনি জীবনের ঝুঁকি মোকাবিলা করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে দেশের সকল উন্নয়নের রুপকার। বাকশালের গুহা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন জিয়াউর রহমান। সুতরাং দেশ রক্ষা ও দেশের উন্নয়নে তার ভুমিকা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, কোনো দেশের সরকার কর্তৃত্ববাদী হলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একটা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। আমরাও ধাপে ধাপে সেদিকেই এগোচ্ছি। এই নিয়ে আমি এখন খুবই আতংকিত। অবশ্য এসব বিএনপিই শুরু করেছিলো। “অপারেশন ক্লিনহার্ট”, “যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন-২০০৩”। এসব তো ওই সময়ই হয়েছিলো। এগুলো ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে আজকের অবস্থায় উপণীত হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজকে দেশের মানুষের তো নিরাপত্তা নেই। সেইসাথে দেশেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। এটা একটা জালিম রাষ্ট্র। মানুষের জন্য শাসকদের কোনো দরদ নেই। নির্যাতনের মাত্রা এমন যে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করে দেয়। মূলত কারাগারে ভেতরে আর বাংলাদেশের ভেতরে একই অবস্থা। যার প্রমাণ খালেদা জিয়া।

এসএমএ কবীর হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের ডাঃ জাহেদ উর রহমান, শাকিলউজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুর রহিম, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত মো: আবুল হাসান সহ নাগরিক ঐক্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন