শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতি নির্বাচন

মঞ্জু-হাসান-দেবাশীষ পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৩৭ পিএম

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বারের মতো ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনে মঞ্জু-হাসান-দেবাশীষ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে ড. নিছার আহমেদ মঞ্জু সভাপতি পদে পেয়েছেন ১১০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. নাছির পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. হাসান মুরাদ। তার প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৯২০। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় মামুনুল ইসলাম মামুন পেয়েছেন ৬৩৩ ভোট। নির্বাচনে ২টি প্যানেলের মধ্যে পুরোনো কমিটি সমর্থিত নাছির-মামুন পরিষদ এবং অন্যটি হচ্ছে পরিবর্তের পক্ষে সমর্থিত মঞ্জুর-হাসান দেবাশীষ পরিষদ। এ প্যানেলে কোষাধ্যক্ষ পদে দেবাশীষ বড়–য়া দেবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট দিতে আসা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। চট্টগ্রামের ফুটবলারদের বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২০১৭। তার মধ্যে ১৬১২ জন তাদেতর ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যদিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি নাছির-মামুন পরিষদের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের প্যানেল থেকে একজনও বিজয়ী হতে পারেনি। আর ভোটের ব্যবধানও ছিল আকাশ-পাতাল।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. আবু সরওয়ার চৌধুরী ১০৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. নিজাম পেয়েছেন ৪০৭ ভোট। ৪ জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহনেওয়াজ উদ্দীন চৌধুরী শামীম ১০৪০ ভোট, মো. নাজিম উদ্দিন ৮৯১ ভোট, মোহাম্মদ আলী ৯৫৪ ভোট, তুষার কান্তি বড়–য়া ৮৫২ ভোট। এছাড়া অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক কিশোর দত্ত (মানু), দুই যুগ্ম সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন নাজু, এস.এম শরিফ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লোকমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হোসেন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জন চক্রবর্ত্তী, প্রচার সম্পাদক মো. সোহেল হোসেন, ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক মো. হায়দার কবির প্রিন্স, আপ্যায়ন সম্পাদক একরাম আফসার, পাঠাগার সম্পাদক এস.এম. আনিসুর রহমান মিরাজ, সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. জিয়াউদ্দিন ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১৫ জন। এরা হচ্ছেন মো. ইব্রাহীম, এস.ডি.এম মোদ্দাচ্ছের বিল্লাহ (শামীম), আবদুর রব মমিন, চেনামং রাখাইন, সুলতান মাহমুদ খান (শাহীন), মো. ইকবাল, মো. জহির উদ্দিন, মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম (মিন্টু), মো. মহসিন সাজু, মো. মহসিন আলী বাদশা, মো. জাফর ইকবাল, নীহার রঞ্জন দাশ, মো. রাশেদ, লায়ন মো. ইয়াকুব হোসাইন ইতু। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. হাফিজুর রহমানের মতো নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল প্রধান সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের তৎপরতা ছিল বেশ প্রশংসনীয়। নির্বাচন কমিশনার হাফিজুর রহমান ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ঘুরে ঘুরে করেছেন তদারকি। আর আ.জ.ম নাছির উদ্দীন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সারাক্ষণ বিভিন্ন ঘোষণা আর গাইডলাইন দিয়েছেন।


চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে পুরো এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকা রূপ নিয়েছে উৎসব ও খেলোয়াড়দের মিলনমেলায়। দীর্ঘ ২৭ বছর পর ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির এ নির্বাচন। কর্ম ব্যস্ততায় সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেলোয়াড়রা এসেছেন ভোট দিতে। তবে ভোট দেওয়ার চেয়ে তারা বেশি উৎফুল্ল ছিলেন পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে। তাদের কাছে এটা কোন ভোট নয়। ফুটবলারদের মিলনমেলা।
রাজধানী ঢাকা থেকে ভোট দিতে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিহাজুল আবেদীন নান্নু। সারাদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা তাকে আপাদমস্তক একজন ক্রিকেটার হিসেব জানরেও তিনি যে একসময় তুখোর ফুটবলার ছিলেন, সেটা অনেকেরই অজানা। সাবেক এই জাতীয় দলের ক্রিকেটার এক সময় ফুটবল খেলতেন তাদের পারিবারিক ক্লাব আবেদীন ক্লাব এবং আগ্রাবাদ নওজোয়ানের হয়ে।
ভোট দিতে এসে নান্নু তার প্রতিক্রিয়া ও নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোট দিতে এসেছি মূলত ছেলেবেলার বন্ধু নিজামের ডাকে। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে যেভাবে সবাই ফোনে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন সেটাও একটা বিষয়। এছাড়া নিজের এলাকায় ভোট। এই উৎসবে সবাইকে দেখতে পাবো সেটাতে শামিল হতে আসা। নতুন কমিটির কাছে প্রত্যাশা সিজেকেএস’র সাথে মিলেমিশে চট্টগ্রামের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে যাবে। ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খানও।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত (দুপুর ১:১৫মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত নামাজ ও দুপুরের খাওয়ার বিরতি) এম.এ. আজিজ স্টেমিয়ামস্থ জিমনেসিয়ামে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এ নির্বাচনে। এর বাইরে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একজন সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। ১৯টি পদে ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গতকাল শনিবার রাত পৌনে বারটায় নির্বাচন কমিশনার হাফিজুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন