আশি^ন মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ শরৎ ঋতুর বিদায়কালে এসেই গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয় রংপুরে ২২২ মিলিমিটার। এছাড়া দেশের সবক’টি বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি এবং মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতের বিহার ও সংলগ্ন এলাকা হয়ে লঘুচাপটি এগিয়ে এসে বর্তমানে রংপুর বিভাগ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। তবে এটি ক্রমেই কেটে যাচ্ছে।
এরমধ্যে রাজারহাটে ১৯২, সৈয়দপুরে ১৮৯, সিলেটে ৯০, দিনাজপুরে ৭৪, নেত্রকোনায় ৫৮, শ্রীমঙ্গলে ৫৬, যশোরে ৪৩ মি.মি.সহ অনেক স্থানে কমবেশি বৃষ্টি ঝরেছে। তবে বরিশাল বিভাগে বিক্ষিপ্ত স্বল্প বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪.৪ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়া ও ডিমলায় ২৩ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৪ ডিগ্রি সে.। পরপর দু’দিনের বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা কমে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। মৌসুুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।