বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রয়োজনে মিয়ানমার সীমান্তে গুলি চালানো হবে

সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার ও চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে। অথচ মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বর্ডারে কখনো গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ।

সীমান্তে হত্যা বন্ধে খুবই আন্তরিক বাংলাদেশ। কিন্তু এই সীমান্তে অপরাধ বাড়ছে দিন দিন। সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কথা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। অপরাধ ঠেকাতে আগামীতে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে। তখন বন্ধ করা যাবে মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ। ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে কোন ধরণের কুটনৈতিক আলোচনা হচ্ছে কি-না; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রন্ত্রী।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা বর্ডারে কাউকে মারি না। মাঝে মধ্যে প্রতিবশি দেশের হাতে এক-দু’জন মারা গেলে মিডিয়া আমাদের জান শেষ করে দেয়। কেউ মরলে মিডিয়া চিৎকার শুরু হয়। বাংলাদেশ-ভারত নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ডারে একটি লোকও মরবে না।’ মিয়ানমার বর্ডারে গুলির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরো ভাল বলতে পারবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বর্ডারটি খুবই ‘ডিফিকাল্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়। ১৯৯২ সালে এসেছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার। এর মধ্যে ফিরে গেছে ২ লাখ ৩৬ হাজার। বাকিদের আশ্রয় দেয় ইউএনএইচসিআর’র। এবারের সংখ্যা অনেক বেশি। ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি আমরা। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন এজেন্সি তাদেরকে এখানে দীর্ঘমেয়াদে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। চার বছর ধরে রাখাইনে কোন মারামারি নেই। শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু ওরা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার কথা বলে না। উল্টো এখানে তাদেরকে কিভাবে ভাল রাখা যায়, তাদের হিউম্যান রাইটস- এসব অবান্তর কথা বলছে। তারা বলছে, রোহিঙ্গাদের জমির অধিকার দিতে, চাকরিতে বৈষম্য না করতে। তারা আমাদেরকে শর্ত দিতে চায়। আসল কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা এখানে দীর্ঘদিন থাকলে তাদের চাকরিও দীর্ঘায়িত হবে। এদের জন্য অনেকে অর্থ বরাদ্দ দেন, কিন্তু সে টাকা কিভাবে খরচ হয় সেটাও জানি না আমরা।’

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ খুন হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ছেলেটা মারা গেছে সে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছিল। সে রোহিঙ্গাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল, এখানে নয়, তাদের সুন্দর ভবিষ্যত নিজ দেশেই। তাই তাদেরকে রাখাইনে ফিরে যেতে হবে। এই আন্দোলন করতে গিয়েই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন