শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

একের পর এক মিথ্যে মামলায় নিঃস্ব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাভারের আশুলিয়া তাজপুর এলাকার বাসিন্দা ইকবাল সরকার। পাশেই একটি ফার্মেসি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিবারের সাত সদস্য তার আয়ের উপরেই নির্ভরশীল। তবে রাজু দেওয়ান নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার চোখে পড়ে তার বসতভিটায়। দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন তিনি। নিজের পৈত্রিক ভিটা রক্ষা করতে চাওয়াটাই কাল হয়ে উঠে ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। দেওয়া হয় তার নামে একের পর এক মিথ্যে মামলা। এদিকে মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে থাকতে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসাটিও বন্ধ হওয়ার পথে। আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে পড়ে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার তাজপুর এলাকার কছিম উদ্দিন সরকারের ছেলে ইকবাল সরকার। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ সাত সদস্য। তাজপুরেই তাদের পৈত্রিক বসতভিটা। তবে গত কয়েক বছর যাবৎ তাদের ওই জমির মধ্যে ১৬ শতাংশ জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু দেওয়ান। তবে প্রতিবারই সেই জমি দখল করতে গেলে বাধা দেয় ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সে কারণে আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করান তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে রাজু দেওয়ান তার কেয়ারটেকার জাকির হোসনের বোন হেলেনা আক্তারকে দিকে পারিবারিক মামলায় ইকবালকে আসামি করা হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইকবালের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে এক নারীকে দিয়ে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করান। পরের বছর ২০১৯ সালে রাজু দেওয়ান নিজেই বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেন। এর পর তার কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বাদী করে মামলা করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে অবশেষে কয়েকদিন আগে আ.লীগ নেতার ওই কেয়ারটেকারের বোন হেলেনা আক্তারের পারিবারিক মামলায়ও নাম দেওয়া হয় ইকবালের। অথচ ইকবাল হেলেনার পরিবারের কাউকেই চিনে না।
ইকবাল সরকার বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকতে গিয়ে নিজের ফার্মেসি ব্যবসাও বন্ধ হওয়ার পথে। অথচ বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা ও স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তার আয়ের উপর নির্ভরশীল পুরো পরিবার। একের পর এক মিথ্যে মামলা খেয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন পালন করছেন তারা। এসব বিষয়ে জানতে রাজু দেওয়ানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন