করোনার কারণে দীর্ঘদিন সিনেমা মুক্তি বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে সিনেমা মুক্তি শুরু করেছে। সিনেমা মুক্তির জন্য প্রযোজকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতিতে প্রায় এক ডজন সিনেমা মুক্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রতি সিনেমা হল খোলার পর মুক্তি পেয়েছে আসিফ ইকবাল জুয়েলের পরিচালনায় চোখ সিনেমাটি। ১০ অক্টোবর মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রসূন রহমানের ঢাকা ড্রিম ও রাশিদ পলাশের পদ্মপুরাণ সিনেমা দুটি। অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত কলকাতা থেকে আমদানি করা সিনেমা বাজি ও এন রাশেদ চৌধুরীর চন্দ্রাবতীর কথা মুক্তি পাবে ১৫ অক্টোবর। ৫ নভেম্বরে মুক্তি পাবে সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ডাইরেক্ট অ্যাটাক। এতে আমিন খান, পপি, ইমন, শিরিন শিলাসহ অনেকে অভিনয় করেছেন। সাদেক সিদ্দিকী বলেন, এখন ৪০-৫০ টির মতো সিনেমা হল দেশে আছে। করোনার কারণে রমজান কিংবা কোরবানির ঈদে আমার সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারিনি। ভালো সিনেমা হল পেলে ৫ নভেম্বর সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এদিকে, অনন্য মামুনের কসাই মুক্তি পাবে ১৯ নভেম্বর। জাহিদ হোসেনের ছিটমহল ও কাজল সাহার অবাস্তব ভালোবাসা মুক্তি পাবে ৩ ডিসেম্বর। একই দিনে মুক্তি পাবে যৌথভাবে সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটির প্রথম পর্ব। আরও হাফ ডজন সিনেমা নভেম্বর ও ডিসেম্বরজুড়ে মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘যাও পাখি বলো তারে’ নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তার পরিচালিত আরেকটি সিনেমা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘আশীর্বাদ’ ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি দেয়া হতে পারে। এছাড়া স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা সিনেমটি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিচালক সৈকত নাসিরের ৩টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এগুলো হলো তালাশ, ক্যাসিনো ও বর্ডার। নির্মাতারা মনে করছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে অনেক নতুন সিনেমা মুক্তি পাবে। এতে অনেক বন্ধ হলও খুলবে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও চাঙ্গা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন