মজুদ ঘাটতিতে দক্ষিণাঞ্চলে পেঁয়াজ বিক্রি আরো সীমিত করল টিসিবি। রাষ্ট্রীয় এ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটির গাড়ির পেছনে দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও বেশিরভাগ মানুষ পেঁয়াজ কিনতে পারেেছন না। ফলে এ অঞ্চলে পেঁয়াজের বাজার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৭৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।
আর এ অবস্থায়ই টিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলার জন্য ১২টি পিকআপের প্রতিটিতে মাত্র ৩শ’ কেজি করে পেঁয়াজ, ৪শ’ কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি এবং ৪শ’ লিটার ভোজ্য তেল বিক্রি করছে। এর মধ্যে বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য ৩টি পিকআপে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। অপর ৫টি জেলা সদরে ১টি করে এবং অবশিষ্ট ৩টি পিকআপ পর্যায়েক্রমে ১টি করে উপজেলাতে যাচ্ছে বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে। ফলে গত মঙ্গলবার থেকে টিসিবির পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল বিক্রির এ কার্যক্রম বাজার নিয়ন্ত্রণে ন্যূনতম কোন প্রভাব ফেলছে না। ৩শ’ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ১ ঘণ্টার মধ্যেই। চিনি ও ভোজ্য তেলের চাহিদাও ব্যাপক। সকাল ১০টার পরেই টিসিবির গাড়ির পেছনে লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। প্রতিটি গাড়ি থেকে মাথাপিছু ২ কেজি করে এসব পণ্য দেয়া হলেও সীমিত সরবরাহে খুব দ্রতই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই এসব পণ্য কিনতে পারছেন না। এমনকি অনেকেই সকাল ১০টার পরে টিসিবির পিকআপের পেছনে রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও পেঁয়াজ, চিনি, তেল ও ডাল কিনতে পারছেন না।
এসব বিষয়ে টিসিবির বরিশালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, সদর দফতরের নির্দেশনা মোতাবেক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের বর্তমান মজুদে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়ে খুব শিগগিরই সরবরাহ বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন