শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফ্রান্সের পর এবার মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারকে স্বীকৃতি দিলো ইইউও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩৩ এএম

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অং সান সু চির দলের জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি)-কে সমর্থন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পার্লামেন্টে এক ভোটে বিকল্প এই সরকারকে সমর্থন দেয়। এর মাধ্যমে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আইনগত সংস্থা ছায়া সরকারকে স্বীকৃতি দিলো।

ইইউর এই স্বীকৃতি মিয়ানমারের সামরিক সরকারের জন্য বিব্রতকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ফ্রান্সও ছায়া সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মিয়ানমারে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সামরিক সরকারকে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। থাইল্যান্ডে বাস করা মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য ইরাবতী’ নামের একটি নিউজ ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এরপর অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৬ এপ্রিল সু চিকে স্টেট কাউন্সেলর করে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন। এই সরকার মূলত দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং নির্বাসিত থেকে কাজ করছে।

এদিকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ ডব্লিউ মিকস, পররাষ্ট্রবিষয়ক এশিয়া-প্যাসিফিক উপকমিটির র‌্যাঙ্কিং সদস্য স্টিভ শ্যাবট ও সিনেটর বেঞ্জামিন এল কার্ডি ‘বার্মা অ্যাক্ট’ নামের ওই প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবকেরা বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে দেশটির সামরিক বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ‘বার্মা অ্যাক্ট’ উত্থাপন করেছেন তাঁরা।
প্রস্তাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও এসেছে। রোহিঙ্গা নিপীড়ন ‘গণহত্যা’ কি না, তা বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও আশপাশের দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করে এমন নাগরিক সংগঠনগুলোকে সহায়তার পাশাপাশি মিয়ানমারে পরিবর্তনের জন্য মার্কিন প্রশাসনকে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বানও জানানো হয়। সূত্র : রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন