শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি: গোলাম মোহাম্মদ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৫:০২ পিএম

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এই অপচেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিকৃতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর উপদেষ্টা লেভেলের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবে। পাশ^বর্তী দেশগুলোতেও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছেন।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইকবাল জাতীয় পার্টিতে যোগ দান অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য খন্ডকালীন সমাধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী সমাধান নয়। কারন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস পর বিলুপ্ত হলে, পরবর্তী উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আইন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছেনা বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই, জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারনেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন শুন্যের কোঠায়।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের মানুষ ১৯৯১ সালের পর থেকে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিচার বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। তাই, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এব বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শফিউল্লাহ শফি, মৌলভী ইলিয়াস, আহমেদ শফি রুবেল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।
যোগদানকারীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. মোতাহার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইসমাইল, এমডি রুমি, মো. রিফাত, মো. রুপক রায়হান, জামাল আব্দুল নাসের, মো. আব্দুল মুহিত, সাঈদ আহমেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৭:২৩ পিএম says : 0
মরহুম জেনারেল এরশাদ সাহেবের ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের সাহেব কে ধন্যবাদ,সময় নষ্ট করে লাভ নেই সময় এসেছে হাকিকত কথা বলার,আওয়ামী লীগ বি এন পি সংগ্রাম করে জনগণ কে মিথ্যা বলে ,জেনারেল এরশাদ কে স্বৈরাচার বলে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করেছেন,যে জনগণের অধিকার না কি জেনারেল এরশাদ হরন করতেছেন এবং লুঠ পাঠ করে এরশাদ খাইতেছেন,যাক জনগণ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি কথায় রাস্তায় আসলেন সংগ্রাম আরম্ভ করলেন,মরহুম এরশাদ কি করবেন,অনেক চেষ্টা করেছেন জনগণ কে বুজাইতে,কিন্তু জন গন বুজতে পারে নাই যে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করলে যে কি বিপদ হবে,এখন হাড়ে হাড়ে টেরপাইতেছে জনগণ,জনগণ ঐ সময় বুজতে পারে নাই যে সংবিধান সংশোধন করে নোংরা কাচরা দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি করা হবে,জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে আওয়ামী লীগ বি এন পি চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে দুই দলের নেত্রী বংগে ভবনে এবং সুগন্ধায় এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বসে পলিসি এবং পলিটিক্স করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য,এই নোংরা কাচরা দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর ও হয়েছে,তুমি পাঁচ বছর আমি পাঁচ বসর,কিন্তু এখন উল্টে আমি পাঁচ বসর বলেছি কিন্তু এখন আমি ক্ষমতায় আমি চিরদিন থাকবে,শেষ সেই ওয়াদা এবং চুক্তি পত্র,এই গুলি আসলে বর্তমানে যারা উইং বয়সের তারা বলতে পারবে না,এই যে একটি গোপন চুক্তি হয়েছে আসলেই জনগণ জানতেন না,বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেত্রী বিএনপির নেত্রী কে ঐ চুক্তির মূল্য দিতেছে না,বিএনপির নেত্রী বলতেও পারছেনা যে আগে কথা ছিল তুমি আমি পাঁচের পরে পাঁচ আমি,বে কায়দায় পড়ে গেলেন বি এন পি নেত্রী,ঐ দিকে বেচারা মরহুম জেনারেল এরশাদ কি করবে বিনা দোষে জেলে,কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতে হলে একটি পথ তাকে দরতে হবে,তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়,আবার নির্বাচন আসলে এখন আওয়ামী লীগের ও ক্ষমতায় থাকতে হলে জনগন কে দেখাইতে হলে একটি বিরোধী দল পয়োজন,সেটা কি জন্য পয়োজন আবার ক্ষমতায় আসতে হলে পয়োজন,কারন বিএন পি এই দরনের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন করবে তার বিরোধী,এখন আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই একটি দল পয়োজন,তখন বেচারা এরশাদ সাহেব কে বলেন আপনার যত কেইছ আছে সব বন্ধ,যদি আমাদের সাথে নির্বাচন করেন ,বেচারা এরশাদ সাহেব কি করবেন বাঁচতে হলে শুনতে হবে অন্যথায় জীবন জেলের মধ্যে কাটাতে হবে,...
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন