চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বিদেশ থেকে পাকিস্তানিদের দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৮০৪ কোটি ডলার। দেশটির ইতিহাসে এটি নতুন একটি রেকর্ড। আনুষ্ঠানিক মানি ট্রান্সফার চ্যানেল ব্যবহার করে প্রাপ্ত অর্থের ভিত্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রবাসীদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার এবং স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) এর প্রচেষ্টায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
শুক্রবার এসবিপির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ‘কোভিড-১৯ এর মোকাবেলায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোর ব্যবহার এবং ভ্রমণকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার এবং এসবিপি কর্তৃক গৃহীত সক্রিয় নীতিমালা গত বছর থেকে রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক উন্নতিতে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।’ তা ছাড়া, সুশৃঙ্খল বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অবস্থার মধ্যে পাকিস্তানে স্থানান্তর উর্ধ্বগতিতে আরও সহায়তা দেয়।
আরিফ হাবিব লিমিটেডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২১-এ প্রাপ্ত রেমিট্যান্স পাকিস্তানের ইতিহাসে যেকোনো ত্রৈমাসিকের জন্য সর্বোচ্চ। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে দেয়া সাক্ষাতকারে আরিফ হাবিব লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ তাহির আব্বাস বলেছেন যে, ফেব্রুয়ারি ২০২০-এ পাকিস্তানে কোভিড-১৯ আঘাত হানার পর থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোটামুটিভাবে, ২০২০-২১ অর্থবছরে, বিদেশে থাকা পাকিস্তানিরা দেশে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশটি সম্পূর্ণ অর্থবছরের মধ্যে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাবে।’ বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের দেশে টাকা পাঠানোর জন্য অবৈধ চ্যানেল ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকার এবং স্টেট ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপগুলো ফল দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি, অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ইসিসি) ন্যাশনাল রেমিট্যান্স লয়ালটি প্রোগ্রামের (এনআরএলপি) আওতায় রেমিটেন্সের জন্য প্রণোদনা অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে, বিদেশী পাকিস্তানিরা তাদের উপার্জন দেশে ফেরত পাঠিয়ে পয়েন্ট পাবে, যা তারা বিভিন্ন পরিষেবা পেতে ব্যবহার করতে পারে বলে তাহির আব্বাস জানিয়েছেন। সূত্র : ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন