শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সন্ত্রাস মোকাবেলার নামে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার ভারতীয় চেষ্টার বিরোধী চীন

প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে ১৫ অক্টোবর ভারতে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শিন জিনপিং। প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের আগে পরমাণু সরবরাহকারী সংস্থায় (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনায় রাজি বলে জানিয়েছে চীন। তবে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-মুহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের ওপর জাতিসংঘে ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাবের বিরোধিতায় অনড় চীন। এ ব্যাপারে চীনের বক্তব্য হচ্ছে, সন্ত্রাস মোকাবেলার নামে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টার বিরোধিতা করবে তারা।
চীনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের আগে চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি বাওডোং সংবাদ মাধ্যমে ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট এনএসজিতে নতুন সদস্য নেওয়ার ব্যাপারে ফের ঐকমত্য গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। ব্রিকস সম্মেলনের অবকাশে চীনের প্রেসিডেন্ট শিন জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে এনএসজিতে ভারতের প্রবেশের কোনো সূত্র পাওয়া যেতে পারে কিনা তার উত্তরে লি বলেছেন, এনএসজিতে কোনো নতুন সদস্যকে নেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে সহমত হতে হবে। এটাই এনএসজির আইন। এ ব্যাপারে চীন একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ভারত ও চীনের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে এবং ঐক্যমত্য গড়ে তোলার ব্যাপারে চীন ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে লি বলেছেন, এনএসজির অন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেও বসতে হবে ভারতকে।
১৫-১৬ অক্টোবর গোয়ায় ভারত, ব্রাজিল, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত সংগঠন ব্রিকসের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এনএসজিতে সদস্যপদ না পাওয়ায় ভারত চীনের দিকে আঙুল তুলেছে। যদিও এরপর এ বিষয়ে মতপার্থক্য কমাতে সম্প্রতি আলোচনায় বসেছে ভারত ও চীন। ভারতের সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের সঙ্গেও এ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেছে চীন। পাকিস্তানও এনএসজি সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে ভারতের পাঠানকোটের নৌ ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার মূলহোতা বলে তাকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পেশ করেছে ভারত। তবে চীনের আপত্তিতে দুবার সেই প্রস্তাব আটকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র দেশ হিসেবে মাসুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরোধিতা করেছে চীন। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীনের টেকনিক্যাল হোল্ড সম্পর্কে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদেরই বিরোধী। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার ক্ষেত্রে কোনো দুমুখো নীতি থাকতে পারে না। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার নামে কেউ তার নিজস্ব রাজনৈতিক ফায়দাও তুলতে পারে না। চীনের এ বক্তব্যে কার্যত ভারতের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
রাজিব ১২ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৩৯ এএম says : 2
চীনকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
জাহিদ ১২ অক্টোবর, ২০১৬, ২:২৩ পিএম says : 1
চীনকে তার অবস্থানে অটল থাকতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন