বিশ্বের ২৬ মেধাবী তরুণ টিওয়াইএফ প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : চতুর্থ বার্ষিক টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম (টিওয়াইএফ) এবং এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের ২৬ তরুণ। প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় টেলিনর গ্রুপের আমন্ত্রণে তারা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল (মঙ্গলবার) এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিবে ২৬ জন তরুণ প্রতিনিধি। টেলিনর গ্রুপের কার্যক্রম রয়েছে এমন ১৩টি দেশের একশ’ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্য থেকে নির্বাচিত শীর্ষ মেধাবী ২৬ তরুণ টিওয়াইএফ- এ প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এটা বৈশ্বিকভাবে এ যাবৎ টেলিনর পরিচালিত সবচেয়ে বড় কোনো বাছাই প্রক্রিয়া। বৈশ্বিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তৈরিতে তরুণ প্রতিনিধিরা এক বছর ব্যয় করবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান সপ্তাহ চলাকালে ৮ থেকে ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে বছরব্যাপী টিওয়াইএফ প্রোগ্রাম শুরু হবে। টিওয়াইএফ-এ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রধান প্রধান সামাজিক সমস্যা সমাধানে দলগতভাবে কাজ করার পাশাপাশি এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল সান্তোসের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। বছরব্যাপী টিওয়াইএফ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অসলোর অনুষ্ঠানের পরেও প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দলগতভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি, আগামী বছরের মে মাসে ব্যাংককে তাদের আবার সাক্ষাৎ হবে। সবশেষে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নোবেল পিস সেন্টারে তাদের দলগত ভাবনা ও কাজের ডিজিটাল প্রদর্শনী হবে। টিওয়াইএফ নিয়ে নোবেল পিস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লিভ টোরেস বলেন, ‘ইউরোপ ও এশিয়া থেকে তরুণ প্রতিনিধিদের একসাথে এখানে নিয়ে আসতে পেরে এবং তাদের বিশ্বব্যাপী ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞ ও সমাধানদাতা হিসেবে তৈরি হবার চ্যালেঞ্জ দিতে পেরে রোমাঞ্ছিত। নোবেল পিস সেন্টার বিশ্বাস করে, সামাজিক অসাম্য চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমরা শান্তির দিকে আরো এক পা এগিয়ে যাচ্ছি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা তরুণরা পরিবর্তনের সূচনায় তাদের সম্ভাবনার উপলব্ধি করতে পারবে।’
টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিগভে ব্রেক্কে বলেন, ‘ যে সব তরুণের ধারণা, উদ্যম ও সামাজিক নৈতিকতা আছে তাদের ওপর আমরা আস্থা রাখি। প্রযুক্তির ক্ষমতা নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা মনে করি, দেশের নির্দিষ্ট গ-ির বাইরেও অন্যের সাথে যোগাযোগ শান্তির ধারাকে তরান্বিত করবে। নতুন কিছু সৃষ্টিতে তরুণরা টেলিনর, এর বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের সহযোগী নোবেল পিস সেন্টারের সাথে যুক্ত হয়েছে দেখে আমরা রোমাঞ্ছিত।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন