কুড়িগ্রামে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউর ৭ম পর্বের সিভিল টেকনোলজির মেধাবী ছাত্রী তানিয়া আক্তার তুলির হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে এলাকাবাসী, সহপাঠিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেলার রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাট এলাকায় ঘুরতে গিয়ে তানিয়া আক্তারকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় তার বখাটে প্রেমিক সোহাগ। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে ৮দিন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলা হলেও অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তানিয়া হত্যাকারী আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পাঠানপাড়া এলাকার মো. তৈয়ব আলী মেয়ে ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রী মোছা. তানিয়া আক্তারের (তুলি) সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে সোহাগের। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তানিয়া আক্তারকে ঘুরতে নিয়ে যায় বখাটে প্রেমিক সোহাগ। এর এক পর্যায়ে গিয়ে রাজারহাটের টগরাইহাট এলাকায় একটি ব্রিজের ওপর অটোরিকশা থেকে তানিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সোহাগ। এতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় নাক-কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে তানিয়ার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ৮দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় তানিয়ার। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর তানিয়ার বাবা মো. তৈয়ব আলী বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় সোহাগকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার জানান, আসামি ধরতে জোর তৎপরতা চলছিল। পরে জানতে পারলাম যে তানিয়া হত্যা মামলার আসামি গতকাল রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আসামি এখন জেল হাজতে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন