নগরীতে উন্মুক্ত খাল নালায় পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে অবশেষে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিভাগের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করেগঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয় এবং এজন্য দায়ী কে- তা তদন্ত করে প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে সিএমপি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, সিডিএ’র সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং চট্টগ্রাম নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এই কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে রোববার তদন্ত কমিটি গঠন ও বৈঠক সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএ’র কাছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ মাজার গেইট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (১৯)। এর আগে ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পা পিছলে পড়ে ডুবে যান সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। গত ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে অটোরিকশা পড়ে গেলে চালক ও এক যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। এসব ঘটনার পর ঘটনাস্থলে রশি টেনে বা বাঁশ দিয়ে সাময়িক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনার দায় নিতে রাজি নয় কেউ। এ জন্য সিডি এ এবং সিটি কর্পোরেশন একে অপরের প্রতি দোষারোপ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন