আমেরিকা-বিরোধী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল সদরের জোট ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে ইরাকের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচয় দেওয়া মুকতাদা আল সদর উভয় দেশেরই শত্রু। সিএনএন’র এক খবরে বলা হয়েছে, দুর্নীতি বিরোধীতা ছিল তার প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে জিততে সদর মিত্রতা করেছেন ইরাকের কম্যুনিস্ট পার্টি ও ধর্মনিরপেক্ষ অনেক দলের সঙ্গেও।
২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের সময় মুক্তাদা আল সদরের বাহিনীর হাতে বহু আমেরিকান সেনা মারা গেছে। আর সেই মুক্তাদা আল সদরই হতে পারেন ইরাকের ভবিষ্যৎ রাজনীতির প্রধান কারিগর, কিংমেকার।
প্রাথমিক ফলাফল তার দলের আসন সংখ্যা বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি দৃশ্যত শিয়া দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০৩ সালে সুন্নি নেতা সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ইরাকের শিয়া গ্রুপগুলো সরকারে প্রাধান্য বিস্তার করছে, তারাই সরকার গঠন করে আসছে।
নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই রোববার ইরাকে নির্বাচন অনুষ্ঠত হয়। ২০১৯ সালে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সরকারের পতন হয়।
নির্বাচনে অবশ্য ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশ কম। মাত্র ৪১ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফল দেখা যাচ্ছে, আল-সদরের আসন সংখ্যা ৭০ থেকে বেড়ে ৭৩ হতে যাচ্ছে। পার্লামেন্টের মোট আসনসংখ্যা ৩২৯।
আল-সদর ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সূত্র : আলজাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন