বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বাংলাদেশের টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই খাতে বিশাল সম্ভাবনা আছে: গবেষনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ৮:১৫ পিএম

বিগত বছরগুলো জুড়ে বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে টেক্সটাইল ও পোশাকখাতের অন্যতম বৈশ্বিক সরবরাহকারী হিসেবে তার অগ্রনী অবস্থান নিশ্চিত করেছে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও এখন এই অবস্থান ধরে রাখাই দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্য সংযোজন করা যেতে পারে, যদি কিনা খাতটি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল (টিটি) এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদী (পিপিই) উৎপাদনের দিকে নজর দেয়। বিজিএমইএ এর সহযেগিতায় জার্মান উন্নয়ন সংস্থা, জিআইজেড পরিচালিত “বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদী (পিপিই)সহ টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভব্যতা (Feasibility Study on Scaling up the Production of Technical Textiles (TT) including Personal Protective Equipment (PPE) in Bangladesh)” শীর্ষক গবেষনায় এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

আজ ১২ অক্টোবর ২০২১ জিআইজেড, জিএফএ এবং বিজিএমইএ এর যৌথ উদ্যোগে আযোজিত এক ‘হাইব্রিড’ ইভেন্ট এর মাধ্যমে উপরোক্ত গবেষনা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জিআইজেড বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল ক্লাস্টার কোঅর্ডিনেটর, ওয়েরনার ল্যাঙ্গে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “আমরা এই ফলাফলগুলো, বিশেষ করে ঘাটতির জায়গাগুলো, মূল কাজসমূহ এবং এই নতুন বাজারে প্রবেশ গুরুত্বপূর্ন হলো টেকসই ও কমপ্লায়েন্টভাবে এই নতুন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশকে সহায়তা করার সার্বিক কৌশলগুলো শেয়ার করতে পেরে গর্বিত।”

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোষ্টার এর উপস্থিতিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি মিরান আলী, জিআইজেড বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল ক্লাস্টার কোঅর্ডিনেটর, ওয়েরনার ল্যাঙ্গে এবং জিআইজেড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এনজেলিকা ফ্লেডডারমেন, প্যানেলিষ্ট বিজিএমইএ এর পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব; ¯েœাটেক্স এর এসিটেন্ট ডিরেক্টের তরিকুল ইসলাম; জিআইজেড এর বিজনেস স্কাউট, থমাস হাবনার এবং গবেষনার প্রবন্ধকার, জিএফএ এর কনসালটেন্ট চার্লস ডেয়ার ও গবেষনায় তার সহকর্মী ড. রাজেশ ভেদা প্রমুখ সাব সেক্টরের (টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং পিপিই খাতের) জন্য উঠে আসা প্রস্তাবগুলো এবং প্রস্তাবগুলোর চ্যালেঞ্জসমূহ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “এই সন্ধিক্ষনে আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগ ও উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। আমাদের শিল্প টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই এর সম্প্রসারণশীল বাজার ধরতে প্রস্তুত। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই খাতে যৌথ বিনিয়োগ আমরা স্বাগত জানাই। সেইসাথে ব্র্যান্ড, টেষ্টিং সার্ভিসেস কোম্পানি এবং প্রযুক্তি সররবাহকারীদের সহায়তা নিয়ে এক সাথে হাত মিলিয়ে এই সম্ভাবনা আমরা বাস্তবে রূপ দিতে চাই।”

কমপ্লায়েন্ট হওয়ার স্বীকৃতি এবং ইইউ ও মার্কিন বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ন ট্রেডিং পার্টনার হিসেবে অর্জিত খ্যাতিকে পুঁজি করার জন্য গবেষনায় বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একবার বাংলাদেশ নতুন খাতটিতে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং পিপিই খাতে আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করতে সমর্থ হলে উন্নত প্রযুক্তি চালু করা যেতে পারে। এগুলো পণ্যকে বৈচিত্র্যময় এবং পণ্যের পোর্টফোলিও’কে পরিশীলিত হতে সাহায্য করবে, যা থেকে অধিক মুনাফা আসবে। এমনকি সীমিত সংখ্যক পণ্যও যদি উচ্চমান বজায় উৎপাদিত হয়, তাহলেও তাদের জন্য বাজারে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি ও পণ্যের দরজা খুলে যাবে। প্রারম্ভিক উৎপাদনকারীদের সাফল্যে উৎসাতি হয়ে পরবর্তীতে আরো কোম্পানি সুযোগ লুফে নেয়ার জন্য এগিয়ে আসবে এবং ফলশ্রুতিতে সাব-সেক্টরটি প্রসারিত হবে।

এখনও কিছু বড় বাধা আছে। এর মধ্যে রয়েছে বাজারের চাহিদা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অপর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতা, উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করার অসুবিধা, কমপ্লায়েন্স ও সার্টিফিকেশনের চাহিদা এবং মূলধন বিনিয়োগের উপর নির্ভরতা।

জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাষ্টার নামক জার্মান উন্নয়ন সংস্থা, এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় অংশীদারদের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদান করছে। টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে জিআইজেড এর সম্পৃক্ত হওয়ার সাফল্যের রুপরেখা তুলে ধরে জার্মান রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। “ এই গবেষনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে টেক্সটাইল খাতে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত” তিনি বলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন