তাইওয়ানের সাথে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে দ্বীপদেশটির কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফুজিয়ান প্রদেশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। ফুজিয়ান প্রদেশের দক্ষিণাংশে তাইওয়ানের কাছের সাগরঅঞ্চলে সৈকতে অবতরণ এবং যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে চীন। যদিও চীন বলছে, তাইওয়ানের সাথে চলা উত্তেজনার সাথে এই মহড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তাইওয়ান নিজেদেরকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলেও চীন দ্বীপটিকে দেখে নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে। পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। স¤প্রতি চীনা শাসন স্বীকার করে নেওয়ার জন্য বেইজিং সামরিক এবং রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে বলে তাইওয়ান অভিযোগ করে আসছে। চীনের যুদ্ধবিমান স¤প্রতি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে (এআইডিজেড) অনুপ্রবেশের পর দুপক্ষে উত্তেজনা বেড়েছে। গত শুক্রবার থেকে টানা চারদিন চীনের বিমান বাহিনীর রেকর্ডসংখ্যক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে অনুপ্রবেশ করেছে। এই অনুপ্রবেশের মুখে তাইওয়ান বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছ থেকে সমর্থন কামনা করেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির দৈনিক পত্রিকা তাদের উইবো মাইক্রোব্লগিং সাইটে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স¤প্রতি কয়েকদিনে ফুজিয়ান প্রদেশের দক্ষিণাংশে মহড়া চালানো হয়েছে। এতে কিছু সেনা এবং নৌকা অংশ নিয়েছে। সৈকতে আক্রমণ শানাতে সেনাদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এই মহড়া চালানো হয়। মহড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি চীনের সামরিক পত্রিকা। তবে পত্রিকাটির দেওয়া মহড়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ছোট ছোট নৌকায় করে সেনারা সৈকতে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা স্মোক গ্রেনেড ছুড়ছে, কাঁটাতারের প্রতিরক্ষা বেষ্টনী পার হচ্ছে এবং বালুতে ট্রেঞ্চ খুঁড়ছে। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশটির অবস্থান তাইওয়ানের কাছাকাছি হওয়ায় দ্বীপদেশটিতে চীনের যে কোনওরকম আগ্রাসনের ক্ষেত্রে হামলা চালানোর মূল কেন্দ্র হয়ে উঠবে এই প্রদেশটি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন