শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

শরীয়াহভিত্তিক সুকুক ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ থাকলেও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে

অনলাইন কর্মশালায় ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৮ পিএম

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেছেন, শরীয়াহভিত্তিক সুকুক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরপরও এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সুকুক’র ক্ষেত্রে আলাদাভাবে কোন আইনি কাঠামো দাঁড়া করানো যায়নি।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) -এ ‘বাংলাদেশে সুকুক কার্যক্রমের সূচনা’ শীর্ষক এক অনলাইন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ জামাল এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরিলিয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ কবির হাসান।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সহকারি অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে ছিলেন, বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ; বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর; সেন্ট্রাল শরিয়হ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি)-এর মহাসচিব আব্দুলাহ শরিফ; ইন্টারন্যাশনাল শরিয়হ রিসার্চ একাডেমি (আইএসআরএ) মালয়েশিয়ার গবেষক মেজবাহ উদ্দিন।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা; অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সচিব ও ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরাস্তু খান; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান; ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রমুখ।

সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যে সকল সুপারিশ এবং মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম বিনিয়োগ সুকুক বন্ড ইস্যু হয়। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ‘সুকুক অকশন’ও বিপুল জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি সুকুকও ইস্যু হচ্ছে। বর্তমানে ইসলামী অর্থনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হলো ‘সুকুক’। তারল্য ব্যবস্থাপনা, বাজেট ঘাটতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপদ বিনিয়োগ ও গণ-অংশগ্রহণমূলক বিনিয়োগ হিসেবে ‘সুকুক’ এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী মুসলিম ও অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উভয় দেশগুলোতে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Habib ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:২৯ পিএম says : 0
দেশের মানুষ এ ধরণের ইসলামী বণ্ডের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলো।
Total Reply(0)
Neamat Ullah ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৩০ পিএম says : 0
এদেশের মাদ্রাসা ও আলেম সমাজের মাঝে এ ধরণের বন্ডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশকে সুদমুক্ত রাখতে এ ধর
Total Reply(0)
Jaker ali ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৩১ পিএম says : 0
ব্যাংকের মুনাফা কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য আগ্রহী নয়। এমতাবস্থায় এহেন বন্ড মানুষের আশাভরসা হয়ে উঠবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন