মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দেশের বন্ড মার্কেট অনেক বড় হবে

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনীতে বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে গিয়ে শুরুর দিকে ধাক্কা আসবে। বর্তমানে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বন্ডের জন্য একটি বড় বাধা। সামনে বন্ড মার্কেট অনেক বড় হবে। এটি জনপ্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। তা না পারলে ভালো কোনো রিটার্ন আসবে না। আপনি যদি গ্রাহককে খুশি করতে না পারেন, তাহলে সে কেন আপনার কাছে আসবে।

গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিমা ধারণা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী ও সালমা নাসরীন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান।
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, কিন্তু কীভাবে দেবো? আমি তো জানি না কোন কোম্পানি কখন কী ঘটিয়ে ফেলে। আমরা তো সারাক্ষণ কারও উপর চোখ বা ক্যামেরা লাগিয়ে বসে থাকতে পারি না। ঘটনা হঠাৎ ঘটে যায়। তখন কীভাবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেবো? এর সমাধান বিমা খাত।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে এবং বন্ড ক্রেতাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা আইডিআরএর সঙ্গে একটি প্রোডাক্ট ডিজাইন করেছি। এই বন্ডের ব্যবসা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার। বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে আমরা জনপ্রিয় করতে পারব এবং বিমা কোম্পানিগুলো কমিশন থেকে অনেক আয় করতে পারবে।
তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ টাকা মুনাফা করতে গিয়ে এক টাকার বিমা করতে অনাগ্রহ দেখাবে না। এটাকে তারা কিছুই মনে করবে না। তারা মনে করে, বিমা করতে গিয়ে যদি ১০০ টাকা ফেরত নিশ্চিত হয় অর্থাৎ ৯৯ টাকা বাঁচায় তাহলে এক টাকা দিতে রাজি আছি। এখন সেই জিনিস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে হবে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের কী কাজ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য যে শুধু রেগুলেটরদের কাজ করতে হবে, তা নয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনগুলো কাজ করতে পারে। সবাইকেই চিন্তা করতে হবে কীভাবে কাজ করলে পুঁজিবাজার ও বিমা খাত লাভবান হয়।
তিনি বলেন, যখন পুঁজিবাজার ও বিমা খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার টার্ন ওভার করবে, তখন সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এতে দেশের অর্থনীতি বাড়বে এবং জীবনযাত্রার মান বাড়বে। অতএব আমাদের নতুন নতুন পণ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ বিমায় থাকাকালীন ক্যানসার ও কিডনি রোগের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা করছি। এ দুটা অসুখ যে পরিবারে হয়, সেই পরিবারটা পুরো শেষ হয় যায়। যদি তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হয়। কিডনি ডায়ালাইসিস করার শেষ নেই। আর ক্যানসারের চিকিৎসার যে কি পরিমাণ ব্যয়, সেটা তো সবাই জানেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিমায় থাকাকালীন সমাধান খোঁজার জন্য চিন্তা করেছিলাম এবং সহজ সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলাম। এ বিষয়ে ওই সময় রবি আজিয়াটা ও গ্রামীণফোনের সিইওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওই সময় কোম্পানি দুটির গ্রাহক ছিল ১০ কোটির মতো। যা এখন আরও অনেক বেশি। তা হিসাব করে দেখলাম, যদি ওই গ্রাহকরা মাসে ২০ টাকা করে বিমা করেন, তাহলে জমা হয় ২০০ কোটি টাকা। যা বছরে হয় ২৪০০ কোটি টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন