শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আইন চেয়ে আবারও রিট

সামনে ইসি পুনর্গঠন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল বুধবার আবারও রিট করা হয়েছে। বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। রিটে আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে প্রায় অভিন্ন প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি আরও একটি রিট হয়েছিলো। এডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ এ রিট করেছিলেন।

ওই রিটে বলা হয়, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠন ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংবিধান ও আইনের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত (২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি) আইন প্রণয়ন করা হয়নি। একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংবিধানের বিধানের বাইরে চলতে পারে না।

নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং ওই বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন। (৪) নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন সচিব ও বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত ওই রিটটির শুনানি হয়েছিলো কিনা জানা যায়নি। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে আবারও দায়ের করা হলো এই রিট। বিগত নির্বাচন কমিশন গঠনকালে দায়েরকৃত রিটের পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানে আইনের কথা বলা আছে। আইন ছাড়া ইসি গঠন হবে অসাংবিধানিক। আগের বার ইসি গঠনের আগে তিনি আইন চেয়ে রিট করলে তার রুলও জারি হয়েছিল। কিন্তু রুলের সিদ্ধান্ত পাওয়ার আগেই সরকার নতুন ইসি গঠন ও গেজেট প্রকাশ করে। ওই গেজেট বাতিল চেয়ে রিট করলে হাইকোর্ট সেটি খারিজ করে দেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেছিলেন। প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি বলেছিলেন, আমরা চাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিযোগের লক্ষ্যে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হোক। সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।’ তবে এ বক্তব্যের পর গত ৫ বছরে ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়নে সরকার বা ইসির কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিষয়টি আদালতেও উত্থাপিত হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন