বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফগানিস্তানের সাথে চর্তুমুখী যোগাযোগের প্রস্তাব চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৪:১৪ পিএম

চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার জি-২০ নেতাদের বৈঠকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সাথে চর্তুমুখী যোগাযোগের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটি ‘মোড়’ যেখানে ‘চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের সহাবস্থান’ রয়েছে।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জি-২০ এর বর্তমান সভাপতি ইতালি মঙ্গলবার গ্রুপটির বিশেষ বৈঠক আয়োজন করে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষে ওয়াং তার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে খাদ্যের অভাব, করোনাভাইরাস মহামারী এবং চিকিৎসা সরবরাহের অভাব সহ অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য মানবিক সহায়তার মাধ্যমে আফগানদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের আহ্বান অনুযায়ী বেইজিং ইতিমধ্যে তালেবান প্রশাসনকে মানবিক সহায়তার জন্য ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার সাহায্যের ঘোষণা করেছে। ওয়াং আফগানিস্তানে ‘উন্নয়নের একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক পথ’ এর জন্য আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রসর হওয়া, সংলাপ এবং আফগানিস্তানের সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা, আফগান জনগণকে স্বাধীনভাবে তাদের জাতীয় অবস্থার অনুকূল একটি উন্নয়ন পথ বেছে নিতে সহায়তা করা।’

ওয়াং দারিদ্র্য দূর করতে এবং অবকাঠামো প্রকল্পে আরও আর্থিক সহায়তার জন্য বিশ্বকে উৎসাহিত করেন এবং বলেন, ‘আফগানিস্তানের উপর থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত।’ তিনি বলেন, আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকবে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ‘জিরো-টলারেন্স মনোভাব’ থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের প্রাসঙ্গিক দলগুলোকে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে এবং সন্ত্রাসবাদের ক্যান্সার নির্মূল করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা প্রয়োজন।’

বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর গত আগস্টে তালেবানরা কাবুলে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকে আফগান রিজার্ভে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৯০০ কোটি ডলার হিমায়িত করেছে। এ বিষয়ে শীর্ষ চীনা কূটনীতিক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আফগান ঐকমত্য তৈরি করা এবং আফগান-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় গঠনের প্রচার করা।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং মানবিক সহায়তার জন্য জাতিসংঘের মর্যাদা বজায় রাখা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, জি -২০ এর উচিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে, মানবিক সহায়তা এবং শান্তিপূর্ণ পুনর্গঠনের অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রজ্ঞা সংগ্রহ এবং সহযোগিতার প্রচারের দিকে মনোনিবেশ করা। সূত্র: ট্রিবিউন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন