শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী তৎপরতাকে সহযোগিতা করেছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ : আমানউল্লাহ আমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩০ পিএম

জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘৃণ্য তৎপরতাকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে প্রেসক্লাবের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে যেমন ভুলণ্ঠিত করলো তেমনি একইভাবে বর্তমান স্বৈরাচারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী বিনা ভোটের নিশিরাতের সরকারের রাজনীতি-গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘৃণ্য তৎপরতাকেই সহযোগিতা করলো। দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত সংভাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটিরর সিদ্ধান্তে গোটা দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। জাতীয় প্রেসক্লাব অতীতে জাতির নানা সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার অবারিত সুযোগ জাতীয় প্রেসক্লাব কখনই হরণ করেনি।
গত ১০ অক্টোবর জেহাদ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগ আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীনের ‘কটাক্ষপূর্ণ বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া কিংবা মামলার রায় হলেই তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে আসতে পারবেন না কিংবা জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিডিও কনফারেন্সেও কথা বলতে পারবেন না, এটা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং দোষী, নির্দোষী, পক্ষ কিংবা বিপক্ষ যেকোনো ব্যক্তি প্রেসক্লাবে আসবেন, তাদের মতামত ব্যক্ত করবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন এটাই রীতি। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাব এই নীতি অনুসরণ করে আসছে। তার এ ধরণের বিবৃতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সুমহান গণতান্ত্রিক ঐহিত্য ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সচেতন দেশবাসী আশা করে প্রেসক্লাবের সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করে ওই বিবৃতি প্রত্যাহার করে জাতীয় প্রেসক্লাবের মর্যাদা রক্ষা করবেন।
১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা স্থায়ী বরাদ্ধ প্রদান করেন, ১৯৭৯ সালে ক্লাবের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসক্লাবের একটি বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব হবে বহুমত ও বহুপথের মানুষের মিলনকেন্দ্র, মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের নির্ভরযোগ্য অঙ্গন। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ও জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে জাতীয় প্রেসক্লাব ছিলো আন্দোলনকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য স্থান। আজকে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, একটি মহল এই প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষমতাসীনদের একটি তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যা দেশের আপামর বিবেকবান মানুষকে চরমভাবে হতাশ করেছে।
আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজুলল হক মিলনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের নবব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, জহিরউদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, কামরুজ্জামান রতন, আবদুল মালেক, শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মধ্যে এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান মিন্টু, যুবদলের সাবেক নেতা কাইয়ুম চৌধুরী ও ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন