শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় বগুড়ার বাসা-বাড়ির ছাদ শুধুই সবুজ

বাজার থেকে নয় ছাদের সবজির গন্তব্য রান্নাঘর

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

করোনাভাইরাসে প্রথমদিকে লকডাউনে লোকজন রীতিমত বাসা-বাড়িতে আটকা ছিল। অনেকে অবসর সময় নষ্ট না করে কাজে লাগিয়েছেন। বিশেষ করে বাসা-বাড়ির ছাদে দিনের পুরোটা সময় পার করে গড়ে তুলেছেন ‘ছাদ বাগান’।

বগুড়া শহর ও শহরতলীর যেদিক চোখ যায় বাসা-বাড়ির ছাদে সবুজ দেখা যায়। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ছাদ বাগানে সময় দেয়া কমেনি। সপ্তাহে ছুটির দু’টি দিন এবং অপর পাঁচদিন কর্মজীবীরা কর্মস্থলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ছাদ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন।
পরিবারের প্রধান ব্যক্তির এমন উদ্যোগে সন্তানরাও সহায়তা করছেন। অনেকেই বলছেন, নেশা বা মোবাইল পর্ণো গ্রাফির পরিবর্তে এধরনের খবর খুবই ইতিবাচক! বগুড়ায় আগে থেকেই সৌখিন মানুষের মধ্যে বাড়ির ছাদে ফুল বা ফলের গাছ লাগানোর অভ্যাস ছিল।
করোনায় এই অভ্যাস প্রায় বাড়ির ছাদে দৃশ্যমান। ছাদেই এখন বাহারি ফুল বাগান, আম-জাম, পেয়ারা, আনার, মাল্টা, ত্বীন ও আঙুরের মত ফলের পাশাপশি, মরিচ, শিম, লাউ, করলা, পুঁইশাকসহ সব ধরনের সবজিই আবাদ করা হচ্ছে। যথাযথ পরিচর্যা ও কৃষি কর্মকর্তাদের গাইড লাইন ফলো করায় মাঠে বা স্বাভাবিক মাটিতে চাষের মতই ফলন ও উৎপাদন যথেষ্ট হওয়ায় সবজি ও ফলের জন্য বাজারে ছুটতে হচ্ছে না। ছাদ বাগানে পরিবারের চাহিদাও মিটছে।

বগুড়া শহরের জ¦লেশ্বরীতলা এলাকার অ্যাডভোকেট মারুফ রাজার মতে, করোনার কারনে হাতে সময় থাকায় ছাদ বাগানে মনযোগ দিতে পেরে ভীষণ খুশী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সন্তানরাও সহযোগিতা করেছে। মোটামুটি পুঁইশাক, মরিচ, ঝিংগা, চিচিংগাসহ কয়েকটি সবজির যোগান এখন ছাদ বাগান থেকেই রান্নাঘরে যাচ্ছে।
নারুলি দক্ষিণ পাড়ার আলহাজ্ব লতিফুল করিম জানালেন, বগুড়ার নার্সারিতেই এখন মোটামুটি দুর্লভ সব ফুল-ফলের কলম চারা পাওয়া যায়। ছাদে ত্বিন ও আরবি খেজুরের চারা লাগিয়েছেন। অনেকেই এগুলো দেখতে আসেন।

বগুড়ায় করোনাকালে ছাদ বাগান সম্পর্কে কলেজছাত্রী তারবিয়াত তানজিম নিতু নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। তিনি একটি নার্সারি গড়ে তুলেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গত তিন মাসে ১২টি ছাদ বাগান চুক্তিতে করে দিয়েছে। আরও শতাধিক নার্সারির পক্ষ থেকেও বহু সংখ্যক ছাদ বাগান তৈরি করে দিয়েছে বা সহযোগিতা করেছে। করোনাকালিন সময়ে বসে না থেকে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে নিতু ও তার ব্যাবসায়ী পিতার সহযোগিতায় গড়ে তুলেছেন এই নার্সারি।

স্থানীয় সমাজ কর্মী বাবু বসুধা জানান, অবসর সময়ে মোবাইল ফোন হাতে পর্নোগ্রাফি বা গেমের আসক্তির পরিবর্তে যদি মানুষ ছাদ বাগান করে তাহলে সেটি সমাজের জন্য ভালো। এতে করে সমাজ সুস্থ ও নিরাপদ থাকবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন