প্রমোদতরীতে মাদক ঘটনায় আটক আরিয়ান খান। এখনও জেল হেফাজতেও রয়েছেন তিনি। তারকাপুত্রের গ্রেফতারির পরই একটি সেলফি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ছবিটি কোনও এনসিবি আধিকারিকের বলেই গুঞ্জন। বাধ্য হয়ে বিবৃতি দিয়ে গুঞ্জন খারিজ করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ভাইরাল হওয়া ওই সেলফিতে থাকা ব্যক্তিকেই লুকআউট নোটিস জারি করল মহারাষ্ট্রের পুণে থানার পুলিশ।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্তা জানান, ভাইরাল হওয়া সেলফিতে থাকা ওই ব্যক্তির নাম কেপি গোসাভি। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ফরাসখানা থানায় আর্থিক প্রতারণা মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেন চিন্ময় দেশমুখ। তিনি কেপি গোসাভির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গোসাভি নিজেকে বিজেপি কর্মী দাবি করেন।
চিন্ময়ের দাবি, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চাকরি সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন করেন তিনি। ওই বিজ্ঞাপনেই মালয়েশিয়ায় চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে বলেই উল্লেখ করা হয়। তবে তার বিনিময়ে টাকাও দাবি করা হয়। চিন্ময়ের দাবি, তিনি কেপি গোসাভিকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। গোসাভি দাবি করেছিলেন ওই টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় চাকরির সুযোগ পাবেন চিন্ময়। তবে ১৪ দিন কেটে গেলেও চাকরি পাননি চিন্ময়। এমনকি ৩ লাখ টাকাও ফেরত পাননি বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় গোসাভির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়েরও হয়। ওই মামলাতেই গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়।
এনসিবি সূত্রে খবর, গত ২ অক্টোবর কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে ছিলেন কেপি গোসাভিও। আরিয়ানের বিরুদ্ধে তাকেই পক্ষপাতহীন সাক্ষী হিসাবে ভেবে রেখেছিল এনসিবি। কিরণ বর্তমানে পলাতক। যাতে গোসাভি দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন তাই তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন