শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পালন হচ্ছে বিজয়ী দশমী

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৩:১৬ পিএম

আজ বিজয়া দশমী। দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে আজ। এ উপলক্ষ্যে সিলেট সহ সারা দেশের পুজা মন্ডপগুলোতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। মন্ডপে মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মুলত কুমিল্লায় একটি পূজামন্ডপ কোরআন অবমাননার অভিযোগে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা। এদিন চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে, করোনার কারণে এবার বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রা হচ্ছে না শোভাযাত্রা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার এসেছে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে সম্ভাবনা থাকে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা। এর আগে বেশ কিছু বিধিনিষেধও প্রদান করা হয়। মন্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেয়া হয় পূজামন্ডপ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতাও সীমিত করা হয় ধুনুচি নাচের। শ্রী সমীরেশ্বর ব্রহ্মচারীর কথায়, বিজয়া দশমীর দিন সংক্ষিপ্ত পূজার পর দর্পণ বিসর্জন হয়। কোনো কোনো জায়গায় দেবীর অপরাজিতা পূজাও হয়। এই দিনেই রাবণ বধের জন্য দশেরা উৎসবও পালিত হয়। এই দিনটিতে অসুর নিধনের পর অসুরের রক্ত দিয়ে দেবতারা বিজয় উৎসব পালন করে ছিলেন। মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয়ী হন দেবী দুর্গা। এজন্যই বিজয়া। সেই লোকাচার বাংলার ঘরে ঘরে সিঁদুর খেলা হিসেবে পরিণত হয়েছে। সিঁদুর খেলার পাশাপাশি চলে কোলাকুলিও। বিসর্জনের দিনে শুক্রবার ১৫ অক্টোবর সকালে শুরু হয় দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী পূজা। সকাল ৯টা ১১ মিনিটের মধ্যে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হবে দশমী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এই দিনে আবেগ ও মন খারাপ মিশ্রিত একটি অনুভূতি সৃষ্টি হয়। দশমী এলেই তাদের মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। সাধারণত দুর্গাপূজা শেষ হয় দশমীর। এই দিনেই বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী দুর্গার প্রতিমা ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন