দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধের মধ্যেই বরিশাল বিভাগীয় সদরের সাড়ে ৬ হাজার লাইনের একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার দুপুরের পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফলে মহানগরীর দুটি ফায়ার স্টেশন, ৩টি পুলিশ স্টেশন, দুটি সরকারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগ এবং মহানগর পুলিশ কমিশনার, মহানগর ও বরিশাল রেঞ্জের পুলিশ কন্ট্রোল রুম ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক সহ বেশীরভাগ জরুরী পরিসেবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এমনকি এসময়ে টেলিফোন অনুসন্ধান ও অভিযোগের ১৭ নম্বরের টেলিফোন পরিসেবাও বন্ধ ছিল।
গত সপ্তাহেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ১৭ সহ বেশীরভাগ জরুরী পরিসেবার টেলিফোন বন্ধ থাকার মধ্যে চীফ জেনারেল ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণের পরে তা সাময়িকভাবে সচল হয়। কিন্তু সপ্তাহ ঘোরার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ঐ একই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আবার বিকল হয়ে পড়লেও বিটিএসএল-এর কেউ তার খোজ রাখেন নি।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বিটিসিএল-এর সিজিএম’এর দৃষ্টি আকর্ষণের পরে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানিয়ে বরিশাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ডিজিএম’কে জরুরী পদক্ষেপ নির্দেশ দিচ্ছেন বলে জানান। এরই প্রেক্ষিতে দুপুর ২টা দিকে বরিশাল ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ৬ দিয়ে শুরু এক্সচেঞ্জটি সচল হতে শুরু করে। সন্ধ্যার পরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাড়ে হাজার লাইনের এক্সচেঞ্জটির বেশীরভাগ জরুরী টেলিফোন সচল হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন