শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে মারামারি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সিনিয়রকে নাম ধরে ডাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) হলে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু›গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বাঁধন নিজের রুমে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সোহাগের নাম ধরে ডাকেন। ঐ রুমের বাসিন্দা সোহাগের বন্ধু ওয়াকিল বিষয়টি শুনলে ১২তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাফী, সোহাগ ও ওয়াকিল মিলে ২০০৩ নং রুমে বাঁধনকে ডেকে শাসান। এক পর্যায়ে বাঁধনকে তারা চড়-থাপড় মারেন।
পরে বাঁধন তার ব্যাচের বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ঐ ব্যাচের সবাই একত্রিত হয়ে রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে ২০০৩ নং রুম থেকে শাফীকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এসময় ১৩তম ব্যাচের হানিফ, সাদমান, মিরাজ, রবিনসহ ৮-১০ মিলে মারধর করেন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ৩০৩ নং রুমে ডেকে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের রুমে (৩০১) ডেকে নিয়ে বিচারের নামে আধাঘন্টা ধরে ফের তাদেরকে মারধর করেন। এ সময় বিশ^বিদ্যালয় শাখা ও হলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মারধরে ১৩ তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী হানিফ ভূইয়া বলেন, আমাদের বন্ধুকে মারধরের বিষয়ে জানতে তাদের রুমে যাই। তবে সেখানে আমরা কাউকে আঘাত করিনি। মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাফি হাসান বলেন, আমি হলের সিনিয়র হিসেবে জুনিয়রদের আচরণের বিষয়ে তাদের বুঝিয়ে বলি। কিন্তু তারা এসে আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, হলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ১২তম ব্যাচের সাথে ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উচ্চাবাক্য বিনিময় হয়। আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আজকের ঘটনায় জড়িত সকলে হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা সিনিয়রদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। পরবর্তীতে সভাপতির সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলের বিষয়গুলো প্রভোস্ট দেখভাল করেন। হল প্রভোস্টসহ হলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন