বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন ও ভুটান সমঝোতায় ভারত আতঙ্কে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভুটান ও চীন বৃহস্পতিবার একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। একে তারা ভুটান-চীন সীমান্ত আলোচনা দ্রুততর করার জন্য ‘তিন-ধাপের রোডম্যাপ’ বলে অভিহিত করেছে। ভুটান বলছে, এটি আলোচনার জন্য নতুন উদ্দীপনা প্রদান করবে এবং উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সফল সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে পারে।
এই সমঝোতা স্মারকটি এমন সময়ে এসেছে যখন পূর্ব লাদাখের সামরিক অচলাবস্থা নিরসনে চীনের সঙ্গে ভারতের নিজস্ব আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে। ভারতের মতো ভুটানেরও চীনের সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং ১৯৮৪ সাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ২৪ বার সীমান্ত নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শেষবার তারা এই সীমানা আলোচনা করেছিল ২০১৬ সালে, ২০১৭ সালের ডোকলাম বিতর্কের আগে। ভুটান এবং চীনের মধ্যে সমস্ত সীমান্তের সম্পর্ককে ভারত ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে কারণ বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর উপর চীনা দাবি নয়াদিল্লির জন্য গুরুতর নিরাপত্তা প্রভাব ফেলে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে অত্যন্ত সতর্ক ছিল। তারা শুধু বলেছে যে, সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভুটান ভারতকে সমঝোতা সম্পর্কে অবহিত করেছিল কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা ভুটান এবং চীনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আপনি অবগত আছেন যে ভুটান এবং চীন ১৯৮৪ সাল থেকে সীমানা আলোচনা করে আসছে। একইভাবে ভারতও চীনের সাথে সীমানা আলোচনা করছে।’ অনেকের কাছে, এবং অতীতের আচরণ অনুসারে, এটা অকল্পনীয় যে ভুটান সীমান্ত ইস্যুতে কমপক্ষে বিস্তৃত রূপরেখা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চীনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের কাছাকাছি বিপজ্জনকভাবে অবস্থিত ডোকলামের জন্য ভুটান এখন পর্যন্ত চীনের ১৯৯৬ সালের ‘প্যাকেজ চুক্তি’ গ্রহণ করেনি, যা ভুটানের কেন্দ্রীয় অঞ্চল বিনিময় করার প্রস্তাব দেয়। চীন গত বছর এই প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেছিল।

২০১৭ সালের ডোকলাম স্ট্যান্ডঅফ সীমান্ত ইস্যুকে আরও জটিল করে তুলেছিল। কারণ ভারত দেখেছিল যে, ডোকলাম এলাকায় চীনের সেনাবাহিনী একটি রাস্তা নির্মাণ করছে। ভারত একে ২০১২ সালের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন হিসাবে দেখে। চীন ২০১২ সালে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে সীমানা স্থির করেছিল এবং অন্য কিছু ক্ষেত্রে চুক্তিতে পৌঁছেছিল, কিন্তু জাপান এবং বেশ কয়েকটি আসিয়ান জাতির সাথে সমুদ্র বিরোধে জড়িয়ে আছে।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের প্রতিলিপি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ভুটান তার ঘোষণায় বলেছে যে, চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের সাথে ১০তম বিশেষজ্ঞ গ্রুপের বৈঠকের সময়, পক্ষগুলো সীমানা নিষ্পত্তি এবং আলোচনা ত্বরান্বিত করার জন্য দৃশ্যত ১৯৮৮ সালের নির্দেশিকা নীতিমালার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা রোডম্যাপে একমত হয়েছিল। গণমাধ্যমে তখন খবর পাওয়া যায় যে, ভুটান এবং চীন তিন ধাপের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেছে। ভুটান বলেছে যে, রোডম্যাপ সীমান্তের আলোচনার জন্য নতুন প্রেরণা জোগাবে এবং তারা আশা করে যে, এই রোডম্যাপটি ‘সদিচ্ছা, বোঝাপড়া এবং বাসস্থানের চেতনায়’ বাস্তবায়িত হবে। এটি সীমান্ত আলোচনাকে একটি সফল সিদ্ধান্তে নিয়ে আসবে যা উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য।

প্রসঙ্গত, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তান্ডি দর্জি এবং চিনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ জিয়াংহাও বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং এবং ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়েল। সূত্র : টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
MD Hassan ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
ভারতের সাথে কেও থাকবে না
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
ভারতের কোনো প্রতিবেশীর সাথেই কোনো ধরনের ভালো সম্পর্ক নেই।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
ভারতবে সবসময়ই আতঙ্কে থাকতে হবে। চীন ও ভুটানের জন্য শুভ কামনা।
Total Reply(0)
Saifullah ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০২ এএম says : 0
Varoter shathe keu thaka dorkar nai. Karon Varot Ekta ........... desh. Shapke bishash Kora Jai kintu kono hinduke ba varotioke noi
Total Reply(0)
রোমান ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৪৩ পিএম says : 0
সবার ক্ষতি করবা, আর সবাই তোমাদের সাথে থাকবে, সেটা আশা করো কিভাবে?
Total Reply(0)
হাসান সোহাগ ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৪৪ পিএম says : 0
পুথিবীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ প্রতিবেশি দেশ ভারত
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন