শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে : ভারত হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থার সঙ্কট হচ্ছে এবং ভীতি তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী দেশকেও সজাগ থাকতে হবে বিএনপি-জামায়াত ধর্মের নামে বিভক্তি শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, এসব ঘটনায় হিন্দুদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা এবং তার জের ধরে সহিংসতার ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে গতকাল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, এই ঘটনা উদ্বেগজনক। তবে বাংলাদেশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও প্রতিনিধিদের সাথে পূজার শুভেচ্ছা জানানোর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, তাদেরও সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয়-যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে।’ প্রতিবছরের মত এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বা প্রতিনিধিদের সাথে বৃহস্পতিবার এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তবে এবার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। পূজার অষ্টমীতে কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যায় এবং এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপে হামলা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের বক্তব্য ছিল মূলত তাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেছেন, পূজামণ্ডপে সহিংসতার ঘটনাগুলোর কারণে সারাদেশে হিন্দুদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি তারা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ আক্রমণ হয়েছে, সেজন্য আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থার সঙ্কট হচ্ছে এবং ভীতি তৈরি হয়েছে।’

ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: বিশ্বে জঙ্গি তৎপরতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশি দেশকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, প্রতিবেশি দেশেও এমন কিছু যাতে না করা হয়, যার প্রভাব এখানে পড়ে। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় তারও একটা প্রভাব এসে পড়ছে। সেব্যাপারে আমাদের নিজেদের দেশ শুধু নয়, আমাদের প্রতিবেশি দেশকেও সজাগ থাকতে হবে।’ ভারতের উদ্দেশে তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রতিবেশি ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছে। তাদের কথা আমরা সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয়-যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে। সে ব্যাপারে তাদেরকেও একটু সচেতন থাকতে হবে।’

রাজনৈতিক অঙ্গনেও এই ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতারা বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অনেকেই ঘটনার জন্য বিএনপির দিকে আঙুল তুলেছেন। আবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ইস্যু থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে সরকারের ইঙ্গিতে এসব ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালের পর থেকে বিএনপি জামায়াত ধর্মের নামে বিভক্তি শুরু করেছে। এদিকে, পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা গত ২৪ ঘন্টায় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা করে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবসহ কয়েকজন সচিব এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতা এবং ফেসবুক সহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন। ‘যারা এধরনের অপচেষ্টা করবেন বা করে যাচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনে আওতায় আনা হবে’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও তারা যে প্রতিশ্রুতি পেলেন, তাতে ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার হবে বলে তারা আশা করছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির মোকবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত তা লক্ষ্য করেছে। ভারতীয় দূতাবাস ও কনসুলেট বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ধর্মীয় সমাবেশে আক্রমণ সহ উদ্বেগজনক ঘটনার রিপোর্ট দেখেছি। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনরক্ষকদের মোতায়েন করেছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হয় এবং প্রচুর মানুষ সেখানে যান। আমাদের হাই কমিশন ও কনসুলেট সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছে।’ সূত্র : বিবিসি বাংলা, ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (29)
Jahir Uddin ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১১ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক কথা বলেছেন। বাংলাদেশের কোন মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাই না, প্রতিবেশি একটি দেশের কারণেই এসব ঘটছে। তারা আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে বিভিন্ন ভাবে যড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
Total Reply(0)
Mirza Arafat ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১১ এএম says : 0
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র ও তার দোসররা ফায়দা হাসিল করতে চায়,কুমিল্লার ঘটনা সে ইঙ্গিতই বহন করে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে কোনো সহিংসতা কাম্য নয়,সকলকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে,যাতে মূল ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের আওতায় আসে।
Total Reply(0)
Badal Sikdar ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১১ এএম says : 0
ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে যেবাবে নাগ গলাচ্ছে তাতেই বুজা যায় এর পিচনে পেচনে তাদের হাত রয়েছে
Total Reply(0)
Syed Abdul Awal ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিন যাতে উনারা নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত না থাকেন
Total Reply(0)
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ সজিব ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। যখন ভারতে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয় তখন আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে।
Total Reply(0)
MD Jueal Islam ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
আপনি ঠিকই বলেছেন এটা আমাদের সমস্যা আমাদেরকে সমাধান করতে হবে এদেশে যারাই বাস করে সবাই এদেশে নাগরিক আর যারাই অপরাধ করবে তাদের সঠিক বিচার করুন।
Total Reply(0)
Karim ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 0
বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন এর ঘটনা ঘটে না বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে মাঝে মাঝে দু একটি ঘটনা ঘটে তার পেছনে সম্পূর্ণরূপে রাজনীতি কাজ করে লামার ঘটনা খোঁজ নিলেই বোঝা যাবে কারা নেতৃত্ব দিয়ে মন্দিরে হামলা করতে গিয়েছিল সারা বাংলাদেশেই একই ঘটনা কিন্তু বলার উপায় নেই।
Total Reply(0)
Jibon Mane Juddho ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 0
ধন্যবাদ প্রধান মন্ত্রীকে ভারতকে সমুচিৎ জবাব দেবার জন্য ৷ মুলত বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারত সহ্য করতে পারছে না এবং ভারতের সাথে বর্তমান বিভিন্ন বিষয়ে মত বিরোধ ও চায়না বাংলাদেশ মৈত্রীতা তাদের চক্ষূশুল হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷তাই তারা মানে জনগন নয় বর্তমান মুদি পন্থিরা বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিমদের মাঝে একটা দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে ৷ যা এ মুদি সরকারের আমলে ভারতেই কয়েকবার হয়েছে ৷
Total Reply(0)
Kamrul Sharif ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী ইনডিরেক্টলি বুঝিয়ে দিলেন যে ভারতে মুসলমানদের উপর যে হমলা হয় এটা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। তবে কোনো দেশেই এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।এগুলো আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য একটা বড় হুমকি। আমার দেশের বিধর্মীরা ভালো থাকলে পাশের দেশের আমার ধর্মের মানুষ ভালো থাকবে। এটা সবার ভাবা উচিত।
Total Reply(0)
Shieakh Bappi ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক বলেছেন ভারত যদি মুসলমানদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন বন্ধ না করে তবে এদেশের হিন্দুদের উপর তার প্রভাব পড়বে।। তাই বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠন গুলোর উচিৎ ভারতের উগ্রবাদী সরকারকে এ মেসেজ টা দেয়া। অন্যথায় ভারতের ঘটনা গুলোর প্রভাব বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর পড়বে
Total Reply(0)
সিমুল ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেবারে সঠিক জায়গায় আলপিন ঢুকিয়েছেন। আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ কারা সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার কারা বাংলাদেশকে তাদের মত করে দেখতে চাই কারা বাংলাদেশকে তাদের মত লেজ কাটা শেয়ালের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
Total Reply(0)
Najrul Shahin ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের নাক গলানো কে বরদাস্ত করা হবে না ।
Total Reply(0)
কবির ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
বাংলাদেশ এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী কেন ভারতের প্রসঙ্গ তুলে আনলেন তা বোঝার ক্ষমতা হয়তো অনেকে নেই অনেকেই বোঝার চেষ্টা করেননি প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান থেকে যেটুকু বলেছেন কূটনৈতিকভাবে এর থেকে বেশি বলা যায়না বাট তিনি একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন এর গভীর তাৎপর্য রয়েছে
Total Reply(0)
Ujjal Hasan ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী খুবই তাত্পর্যপূর্ণ একটি কথা বলেছেন "সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয়-যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে,"
Total Reply(0)
Md Shahin Alam ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
'কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদের কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে।' (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮) ইসলামে বিদ্বেষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সুতরাং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে অনুরোধ সহিংসতা পরিহার করুন অনেক সুযোগ সন্ধানীরা রয়েছে তারা হামলা করে মুসলিমদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে। যদিওবা এই পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষতি বেশী হয়েছে।
Total Reply(0)
Mirza Arafat ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র ও তার দোসররা ফায়দা হাসিল করতে চায়,কুমিল্লার ঘটনা সে ইঙ্গিতই বহন করে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে কোনো সহিংসতা কাম্য নয়,সকলকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে,যাতে মূল ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের আওতায় আসে।
Total Reply(0)
কামাল ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
বাংলাদেশ হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনে যে কথা বলেছেন তার গভীর তাৎপর্য রয়েছে শাব্দিক অর্থে হয়তো যা বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রীর জায়গা থেকে এর চেয়ে বেশি বলা যায়না কিন্তু যারা বোঝার তারা সবাই বুঝেছেন কেন প্রধানমন্ত্রী এই সময় ভারতের প্রসঙ্গ টা তুলে আনলেন।
Total Reply(0)
Imam Hossain ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
Thank you honorable Prime Minster , Thank you for your courage
Total Reply(0)
Jibon Mane Juddho ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৬ এএম says : 0
ধন্যবাদ প্রধান মন্ত্রীকে ভারতকে সমুচিৎ জবাব দেবার জন্য ৷ মুলত বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারত সহ্য করতে পারছে না এবং ভারতের সাথে বর্তমান বিভিন্ন বিষয়ে মত বিরোধ ও চায়না বাংলাদেশ মৈত্রীতা তাদের চক্ষূশুল হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷তাই তারা মানে জনগন নয় বর্তমান মুদি পন্থিরা বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিমদের মাঝে একটা দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে ৷ যা এ মুদি সরকারের আমলে ভারতেই কয়েকবার হয়েছে ৷
Total Reply(0)
হাদী উজ্জামান ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৬ এএম says : 0
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরাও মনে করি ভারতে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন করা হলে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে যদিও সরকার সংখালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের চেয়ে বহুগুন এগিয়ে।
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৬ এএম says : 0
মুসলমান রা ত মানুষের কাতারেই পরেনা।এজন্যই তাদের নিরাপত্তার দরকার নাই।তাইত ভারতে তাদের পাখির মত গুলি করে মারা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক কথা বলেছেন।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমার মন থেকে দোয়া রইলো। তিনি অত্যন্ত উচিত কথা বলেছেন। ভারতকে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের দেশে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করলেই হবে।
Total Reply(0)
তানিম আশরাফ ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
আমাদের ভারতে মুসলিম নিপীড়ন নিয়েও কথা বলা উচিত। প্রধানমন্ত্রী যথাযথ জবাব দেওয়ায় আমি মনে করি পরবর্তীতে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্ত্ররীণ বিষয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে দশবার ভাববে।
Total Reply(0)
Obaid Ullah ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই। এদেশে হিন্দুরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রয়েছে। আপনারা মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করুন তাহলেই উপমহাদেশের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Tareq Sabur ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১:৫৯ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। এই কোরআন অবমাননার কাজতো ভারতই করিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় সঠিক তথ‍্যই দেয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে যেটা বিএনপি জামাতের পক্ষে যায় সেটা উনি উল্টে দেন সবসময় তাদের ফাসানোর জন‍্য। কিন্তু এইবারের ব‍্যাপারটা ভিন্ন। এইবার ভারত তাদের সুবিধার জন‍্য এমন কাজ করেছে যা থেকে কোন ভাবেই বিএনপি-জামাতের দোহাই দিয়ে বের হয়ে আসা যাবেনা। যদিও বায়তুল মোকাররমেও কোরান পুড়িয়ে এই আওয়ামিলীগ ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল নিজেদের লাভের জন‍্য। কিন্ত এইবার মানুষ ওইসব কল্পকাহিনী ও মিথ‍্যাচার আর খাবেনা। হাসান মাহমুদ ভারতের একজন কেনা গোলাম। তা নাহলে সে তারাতারি করে বিএনপি-জামাতের দিক আঙ্গুল তুলত না। কেনা গোলামেরও আত্মসম্মান থাকে, হাসান মাহমোদেরতো তাও নেই, ও হল একটা নর্দমার আবর্জনা।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৩:২৭ এএম says : 0
প্রধান মন্ত্রী ভালো বলেছেন ..................
Total Reply(0)
Mohiuddin ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১০:২৭ এএম says : 0
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র ও তার দোসররা ফায়দা হাসিল করতে চায়, কুমিল্লার ঘটনা সে ইঙ্গিতই বহন করে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনা ও জাতীর কাছে তা প্রকাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে কোনো সহিংসতা কাম্য নয়,সকলকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে,যাতে মূল ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের আওতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী খুবই তাত্পর্যপূর্ণ একটি কথা বলেছেন "সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয়-যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে। সে ব্যাপারে তাদেরকেও একটু সচেতন থাকতে হবে।”
Total Reply(0)
মো:+শফিউর+রহমান ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:২৭ এএম says : 0
মাঝে মাঝে এধরনের বক্তব্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে আশা করি এতে আমাদের সাহস বাড়বে । পৃথিবীতে এমন কোন ধর্মের মানুষ নাই যারা পরক্ষ এবং প্রথ্যক্য আমাদের পবিত্র কোরানকে সমিহ করতে ভুলেনা। কারন পবিত্র কোরান রিচার্জ করেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে যেটা মুসলমানদের পক্ষেও সম্ভব হয়ে উঠেনা । যারা মুসলমানদের পছন্দ করেনা তারা ক্ষতি সাধন করতে চেষ্টা করে । এটা বুঝা উচিৎ মুসলমান কখনও অহেতুক কোন ধর্মে আগাত করেনা বা কোন দেশের উপর কতৃত্ব করা পছন্ধ করেনা । পবিত্র কোরান মুসলমানদের প্রানের চেয়েও প্রিয় । তাই আবেগের বশবুতি হয়ে কিছুটা অতিরিক্ত করেছে । তার জন্য প্রান দিতে হয়েছে কয়েকজনকে । আমরা সঠিক বিচারের আশা করি । মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে অনুরোধ আপনি সঠিক বিচারে এগিয়ে যান এতে আপনার প্রতি মানুষের আরো আস্থ্যা বারবে । মহান আল্লাহ আমাদেরকে আফদ বিপদ থেকে রক্ষা করুন ।
Total Reply(0)
এম এ কাদের পাটোয়ারী ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৫ পিএম says : 0
সৃষ্টিগতভাবে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব । মানবতা ও মনুষত্ববোধের জায়গায় আমরা সবাই মানুষ। সামাজিক বন্ধনে ইসলামে রয়েছে সকল ধর্মের সম্মান ও সহ অবস্থানের অধিকার। মানবিক মূল্যবোধ ও আদর্শিক আচরণে ইসলামী দাওয়াতের রয়েছে শৈল্পিক সুন্দর্যের গৌরবময় কাল জয়ী ইতিহাস । ষড়যন্ত্ আর রাজনৈতিক অপকৌশলে সাশন কুশনের যাতা কলে আল্লাহ পদত্ব এই আর্দশিক যাত্রাকে গতিরোধ করতে পারেনি কখনো। সময়ের পরিক্ষিত ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা থেমে থাকতে পারে না কারণ আল্লাহ পদত্ব ওহীর জ্ঞান এই যাত্রার পথ র্নিদেশক। এই পথে যারা অগ্রপথিক তাদের চিন্তাগত দিক হলো মানব রচিত সকল মতবাদকে পদদলিত করে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার জায়গায় নিজেদেরকে একিভূত করে সৃষ্টার সৃষ্টিগত উদ্দেশ্যকে প্রতিষ্ঠিত করা। সৃষ্টির শেরা জীবকে হত্যা , লুন্ঠন , অপবাদ বা মানব রচিত পদ্ধতি দিয়ে সৃষ্টার উদ্দেশ্য কার্যকর করা অবান্তর । তাছাড়া লেলিন , কালমার্স ও মনব রচিত সমকল মতবাদ পরিক্ষিতভাবে অকর্যকর হয়েছে বারবার। কায়েমি সার্থবাদের ইতিহাস ছিল কলঙ্কিত, ঘৃণিত ও প্রত্যক্ষত । শাষন শোষন, নিপীড়ন ও জবর দখল করে বেচে থাকতে পারেনি আবরাহা, ফেরাউন, হামান, এখনো তাদের উত্তরসূরীরা ব্যার্থ চেস্টায় হাস্যকর ভাবে ধাবমান । সময়িক মরিচিকা, দাম্বিকতা , মনোরন্জন, অপুরন্ত খায়েশ তাদেরকে করে রেখেছে অন্ধ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন