শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নির্যাতন সইতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়ে মারা গেলেন গৃহবধূ, থানায় মামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৬:০৮ পিএম

নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন দেয়া অন্তঃস্বত্ত্বা সেই কিশোরী গৃহবধূ মৃত কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন । এ ঘটনায় শনিবার কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। গত ৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার ধৌবাউরা উপজেলায় আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে শাহিনুর আলম শাহিনের স্ত্রী সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য (২০) গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ হন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ নিলে সেখান থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাবণ্য নামের ওই নারীর বাবার বাড়ি কলমাকান্দা থানায়। তার চাচা শাহ মোস্তফা মো. সাইদুল শনিবার ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। লাবণ্যর স্বামীর নাম শাহিনুর আলম শাহীন (২৫)। গত বছর তাদের বিয়ে হয়। মামলায় স্বামী ছাড়া অন্যরাও রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি আর ননদের নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন দেন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য। ৯০ ভাগ পোড়া শরীর নিয়ে লাবণ্য ভর্তি ছিলেন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতালে। গত বৃহস্পতিবার সেখানে তিনি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন।

লাবণ্যর বাবা আরিফুল ইসলাম জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন লাবণ্য মৃত সন্তান জন্ম দেয়। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মৃত সন্তানকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে সন্ধ্যাায় আমার মেয়েটিও মারা যায়। মেয়ে-মা কেউই বাঁচল না। মেয়েটির স্বজনরা জানান, লাবণ্যর বাবা-মায়ের বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ায় সে বড় হয় দাদি ও নানির কাছে। তারাই তাকে বিয়ে দেন শাহীনের সঙ্গে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সুখি ছিলো না মেয়েটি। তার স্বামী তাকে প্রায়ই বলতো, দাদির কাছ থেকে টাকা আনতে। টাকা-পয়সা দিয়ে ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দিতে। টাকার জন্য তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ নানাভাবে চাপ দিতো। মারধরও করা হতো তাকে। ১৬ মাসের সংসারে কয়েকবার পারিবারিকভাবে সালিশ হয়েছে, কিন্তু মীমাংসা হয়নি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন