‘সৃজনী বাংলাদেশ’ নামে একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ভুইফোড় সংগঠন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী করে কাজল রেখা (৩২) নামে এক নারী ঝিনাইদহ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি যৌতুক, দেনমোহর, ভরণ পোষন ও চেক উদ্ধারের বিষয়ে মামলাটি করেন। এ সব মামলায় হারুনের প্রথম স্ত্রী সোহেলী পারভীন দিপ্তী ও প্রথম পক্ষের সন্তান তামিউর রশিদকে আসামী করা হয়েছে।
বাদি কাজল রেখা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের আবুল কাশেমের কন্যা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি সৃজনী বাংলাদেশ এনজিওতে সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। চাকরী করা কালে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হারুন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ৯ মার্চ তারা বিবাহ করেন। বিয়ের সময় যৌতুকের কোনো কথা ছিল না এমনকি হারুন তাকে জানায় তার প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো হারুন অর রশিদের বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আসে, যার নাম রেখেছেন তাহাছিনা রশিদ (৩)।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, নানা সময়ে হারুন তার কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি চাকরি থেকে জমানো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। এ সময় তার নিকট থেকে ৪ টি চেক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। হারুন আরো ৫ লাখ টাকা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এই টাকা না দেওয়ায় হারুনসহ অন্য আসামীরা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে তার সেই ভাড়া বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য চাপ দেন। যে কারনে তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর আমলী ও পারিবারিক আদালতে তিনি এই তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, যৌতুক ছাড়াও আরো দুইটি মামলা করেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে তার এবং তার কন্যার ভরণ পোষন ও চেক উদ্ধারের মামলা। কাজল রেখা দাবি করেন, হারুন নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে দাবি করলেও তার নারী প্রীতির কথা সবাই জানে। কাজল রেখার দাবী, তার ওরশজাত সন্তানকে পথে ভাষিয়ে দেওয়া কোনো সমাজকর্মীর কাজ হতে পারে না। এ বিষয়ে সৃজনী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা হারুন-অর রশিদ এর সঙ্গে কথা বললে গনমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এটা তিনি জানেন না। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবেন । উল্লেখ্য সাদা চেক নিয়ে চাকরী দেওয়ার ব্যাপারে ঝিনাইদহের একটি আদালত এনজিও গুলোকে সতর্ক করে দেন। তারপরও ঝিনাইদহের সৃজনী ও সিওসহ ঝিনাইদহ জেলার এনজিও গুলো সাদা চেকে সাক্ষর করিয়ে যুবক যুবতীদের চাকরী দিচ্ছেন। পরবর্তীদের ওই সব চেকে ইচ্ছেমতো টাকার অংক বসিয়ে আদালতে মামলা করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন