জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, ‘নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এটি একটি সু-পরিকল্পিত হামলা। লন্ডনে বসে থাকা কথিত প্রধানমন্ত্রীর বিগড়ে যাওয়া সন্তানের ইন্ধনে, পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী চক্র এ অপকর্মটি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নই, এটি সুপরিকল্পিত ঘটনারই অংশ।’
শনিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে শুক্রবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরগুলো পরিদর্শন শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি।
সচেতন দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করে হুইপ আরও বলেন, পরম ধৈর্যের সাথে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হব। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের প্রতর্ক্যকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। আগামীতে যেন সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস, আছার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্র বদ্ধ পরিকর।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পর এ পর্যন্ত ৪৮জনকে আটক করা হয়েছে। যতগুলো ঘটনা এখানে ঘটেছে প্রত্যেকটার জন্য আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের সবাইকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চৌমুহনীতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, নোয়াখালী জেলা আ.লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণ, জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন