দেশের শীর্ষ আদালত জনসাধারণের ফাঁসির আদেশ জারি না করা পর্যন্ত স্থানীয় কর্মকর্তাদের জনসম্মুখে শাস্তি না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, মন্ত্রী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কোনো দণ্ডিত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে আনা যাবে না এবং আদালত জনসাধারণের শাস্তির আদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো শাস্তি দেওয়া হবে না।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিশদ বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের পদক্ষেপের আদেশ না দিলে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং লাশ ঝোলানো এড়ানো উচিত’। মন্ত্রী পরিষদ হল ইসলামী আমিরাতের মন্ত্রিসভায় প্রদত্ত নাম। তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘যদি অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে শাস্তির ব্যাখ্যা দিতে হবে যাতে জনগণ অপরাধ সম্পর্কে জানতে পারে’।
গত মাসে তালেবানরা পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে চারজন অপহৃতের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোয় ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত হয়েছিল।
সিনিয়র তালেবান নেতা মোল্লা নূরুদ্দীন তুরাবি গত মাসে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছিলেন যে, তালেবান সরকার আবারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে এবং হাত কেটে ফেলবে, যদিও প্রকাশ্যে নয়। তবে, তুরাবির বক্তব্যের পরে বেশ কয়েকটি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তুরাবি ১৯৯৬-২০০১ এর আগের তালেবান সরকারের সময় বিচারমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, তালিবান সরকার শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, শেখ আবদুল হাকিমকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। হাকিম, একজন জাতিগত পশতুন ধর্মগুরু এবং তালেবান প্রধানের আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব। এর আগে তিনি কাতারে তালেবান আলোচনা দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন