চীনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন কোর মডিউল তিয়ানহে পৌঁছেছেন ঝাই ঝিগাং, ওয়াং ইয়াপিং এবং ইয়ে গুয়াংফু নামে তিন চীনা নভোচারী। এদের মধ্যে ওয়াং ইয়াপিং এই স্টেশনের প্রথম নারী নভোচারী। শনিবার মহাকাশযান শেনঝো-১৩’র এক যাত্রায় সফলভাবে স্টেশনে অবতরণ করেন তারা। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া।
খবর অনুযায়ী, শনিবার সকালে শেনঝো-১ মহাকাশযানে থাকা তিন চীনা নভোচারী দেশের স্পেস স্টেশন কোর মডিউল তিয়ানহে প্রবেশ করেন এবং ধারাবাহিক প্রস্তুতির শেষে ক্যাপ্টেন ঝাই ঝিগাং স্পেস স্টেশন তিয়ানহে কোর মডিউলের হ্যাচটি খুললেন এবং বেইজিং সময় সকাল ৫ টা বেজে ৫ মিনিটে বাকি দুই সহকারী নভোচারীকে নিয়ে একে একে মূল মডিউলে প্রবেশ করেন তারা। এই তিনজনের দলটি চীনের মহাকাশ স্টেশনে ক্রুদের দ্বিতীয় ব্যাচ।
শেনঝো-১৩ মূলত শেনঝো-২ এবং শেনঝো-৩ এর আদলে গঠিত। মহাকাশ স্টেশনে সফলভাবে অবতরণের পর নভোচারীরা ফিরে আসা পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথে অবস্থান করবে শেনঝো-১৩ মহাকাশযানটি।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) জায়গা না পেয়ে নিজেই এককভাবে একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে উদ্যোগী হয় চীন। রাশিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এবং জাপানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি স্টেশনে চীনের অংশগ্রহণে কোনোভাবেই সম্মত হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এরই জেরে চীন ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিয়াংগং-১ ও তিয়াংগং-২ নামে দুইটি পরীক্ষামূলক স্টেশন পাঠিয়েছিল চীন।
সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিলে সফলভাবে স্পেস স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করে। একাধিক মডিউলবিশিষ্ট ৬৬ টন ওজনের তিয়াংগং স্পেস স্টেশনটি আকারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের এক-পঞ্চমাংশ। নতুন এই স্টেশনের মূল অংশই হচ্ছে তিয়ানহে মডিউল।
রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মহাকাশ স্টেশনটি পুরনো হয়ে গেছে। বছর তিনেক পরে এটির ঠিকমত কাজ করবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় সেখানে চীনের নতুন এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা তখন তিয়ানগং-ই হবে পৃথিবীর কক্ষপথে একমাত্র মহাকাশ স্টেশন। সূত্র : সিনহুয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন