র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প কতৃক ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানা হতে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সীমকার্ড সহ বিকাশ প্রতারক চক্রের ০৩ (তিন) সদস্য আটক।
র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৭ আগস্ট) গভীর রাতে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীনডুমাইন গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, ০১। মোঃ রবিউল ইসলাম@পাপ্পু(২৩), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ০২। চন্দন মালো(২৯), পিতা-চিত্র রঞ্জন মালো, উভয় সাং-ডুমাইন, থানা- মধুখালী, জেলা-ফরিদপুর, ০৩। মোঃ জাকারিয়া
ইসলাম@অন্তর(২৬), পিতা-কাদের আল নবীর, সাং-পারনান্দুয়ালী, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-
মাগুরাদেরকে আটক করেন। এ সময় আটককৃত আসামীদের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ০৪ (চার) টি সীমকার্ডসহ ০৩ (তিন) টি মোবাইল ফোন এবং ০১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায় তারা বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার বিবরনে আরো জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস
করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতঃ রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয়
এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানাগেছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন