বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পটিয়ার কুসুমপুরা-কালারপুল সড়ক বেহাল

এস কে এম নূর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা-কালারপুল সড়কের বেহাল দশা। যান চলাচলে চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা। এ সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে দুই কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ। এসব গর্তে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে রয়েছে। প্রতিদিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিক ও এলাকার লোকজনকে ঝুঁিক নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পটিয়া উপজেলোর কুসুমপুরা-কালারপুল ও ভেল্লাপাড়া কান্তিরহাট সড়কের এ করুণ দশা হলেও যেন দেখার কেউ নেই। ভারী ট্রাক কার্গো চলাচলের কারণে সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষোপ প্রকাশ করে গত বছর এ সড়কে ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ করেছে। তারপরেও সড়ক সংস্কার হয়নি। পথচারীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপারে বিরোধ মন্তব্য করছেন।
জানা যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের কর্ণফুলীর তীর ঘেষে ও শিকলাবাহা এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এছাড়াও তিনটি শিপইয়ার্ড, টেক্সটাইল ২টিসহ প্রায় ২০টির অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালামাল কুসুমপুরা-কালারপুল সড়ক ও ভেল্লাপাড়া কান্তিরহাট সড়ক দিয়ে নেয়া হয়। বর্তমান সড়কে ছোট বড় গর্তে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক ২টি সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পটিয়ায় ১১৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হলে এ প্রকল্পের সুফল মিলবে। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চেয়ে সড়ক দুটি নিচু হওয়ার কারণে প্রায় সময় জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। নতুন প্রকল্পে বেড়িবাধেঁর প্রয়োজন রয়েছে। কোলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ নুর জানান, সড়ক দুটি বেহাল। গুরুত্বপূণ এ সড়ক সংস্কাওে আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্না দিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন