শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে কমিটি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৮ পিএম

ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয়া হবে। এছাড়া ই-কমার্সে প্রশাসক নিয়োগ হবে কিনা সেই বিষয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসায় প্রতারিত ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটি এই তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতারিত গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এ কথা জানান।

ই-কমার্সের টাকা ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে টাকা চলে গেছে সেটার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ই-কমার্সে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে কি না মন্ত্রি পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ইভ্যালিতে প্রশাসক হাইকোর্ট থেকে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে সেভাবে যদি করা হয়, সেটাও হতে পারে। আমরা সুপারিশ মন্ত্রি পরিষদে পাঠানো হবে সেটি আসার পরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় আমরা আটটি সুপারিশ নির্ধারণ করেছি। এই সুপারিশগুলো আমরা মন্ত্রি পরিষদে পাঠাবো। পরে সেখান থেকে নির্দেশনা আসবে। সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে একটা সুপারিশ দেওয়া হবে। আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনতেও আমরা প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

শফিকুজ্জামান বলেন, কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে বসে মন্ত্রি পরিষদে এই পরিপূর্ণ প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এটা পাঠানোর পরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা বা ই-কমার্সকে কীভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যায় সেটা হয়তো আমরা পলিসি মেকারদের থেকে পাবো। সেই অনুযায়ী কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি আছে, বিশেষ করে কিছু গোপন সংস্থা আছে। এছাড়া ই-ক্যাব ও ক্যাবের প্রতিনিধি আছেন। কীভাবে সেই বিষয়গুলো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা আমরা বসে সবার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী করবো।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ই-কমার্সে যে ঘটনা ঘটেছে অবশ্যই এটা একটা ক্ষতি। ই-কমার্সকে আমরা সামনে নিয়ে যেতে চাই। সবাই মিলে ই-কমার্সকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পূরণ করে কীভাবে সামনে এগিয়ে নিতে পারবো সেটাই মূল লক্ষ্য, কমিটি সেভাবেই কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন