প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ের ৭০০ একর বনভূমি লিজ নেয়ার পাঁয়তারা করছেন আমলারা। সংবাদ সম্মলনে এমন অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দরা। গতকাল দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, অতিলোভে পড়ে কিছু সরকারি আমলা প্রশিক্ষণ একাডেমির নাম দিয়ে সমুদ্র পাড়ের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন শুকনা ছড়িতে ৭০০ একর বনভূমি খাস জমি দেখিয়ে একাডেমিক ভবন করার পাঁয়তারা করছে। এই বনভূমি সাবাড় করার লক্ষে ইতিপূর্বে গোপনে লিজও নেয়া হয়েছে। বক্তারা বলেন, বনের জমিতে একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানলে তা বাতিল করবেন। বনের জমিতে একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানলে তা বাতিল করবেন।
কক্সবাজারে বনভূমির ৭০০ একর জমি লিজের কার্যক্রম হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত হওয়ার পর পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের পক্ষে করা রিটে সমুদ্র সৈকতের পাশ্ববর্তী ৭০০ একর বনভূমি হাইকোর্টের যুগান্তকারী আদেশে ৩ মাসের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমলারা। তারা বলেন, আমাদের জীবন থাকতে জীব বৈচিত্র ধ্বংস করে একাডেমিক ভবন করতে দেয়া হবে না। তবে তারা অন্য যে কোন জায়গায় নির্মাণ করলে কোন আপত্তি নেই। কক্সবাজারের ফুসফুস খ্যাত শুকনা বনের ৭০০ একর বনের জমির লিজের নামে উজাড় করা হলে জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম ক্ষতির সম্মুখীন করে তা করতে দেয়া হবে না। অচিরেই লিজ বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, নাগরিক ফোরামের সেক্রেটারি প্রফেসর আনোয়ারুল হক, উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য যথাক্রমে মমতাজ উদ্দিন বাহারি, ইকরাম চৌধুরী টিপু, এম আর খোকন, সফিনা আজিম, আবদুল মতিন আজাদ, কমরেট সমীর পাল, রুহুল আমিন সিকদার, কামরুল হাসান, ইমাম খাইর প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন