খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গ্রাম্য সার্ভেয়ার অশ্বিনী রায় হত্যার মামলায় একমাত্র আসামি প্রশান্ত বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে তাকে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রশান্ত বিশ্বাস পলাতক ছিলেন। প্রশান্ত বিশ্বাস ওরফে ঘেদো বটিয়াঘাটা উপজেলার বায়ারডাঙ্গা গ্রামের শশিপাড়া এলাকার সূর্যকান্ত বিশ্বাসের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো: এনামুল হক। তার সহযোগী আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন, এপিপি এম ইলিয়াজ খান ও এপিপি মোসাম্মৎ শম্মী আক্তার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অশ্বিনী রায় ওই এলাকার প্রশান্তকে প্রায়ই টাকা ধার দিতেন। ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। একপর্যায়ে অশ্বিনীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে প্রশান্ত।
২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় মাইলমারী বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন অশ্বিনী । বিকেল ৫ টার দিকে তিনি বয়ারডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় জনৈক কালিপদ মন্ডলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা প্রশান্ত তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশে কাঠ বা রড দিয়ে অশ্বিনীর মাথা ও নাক বরাবর আঘাত করতে থাকে। আঘাতে একসময় অশ্বিনী রায় অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় নাম ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে তার। ঘটনার পরের দিন অশ্বিনী রায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে অজয় কুমার রায় বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় প্রশান্ত বিশ্বাসকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন