ব্রিটেনে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৯ হাজার ১৫৬ জন। গত তিন মাসের মধ্যে এই সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ। এ অবস্থায় আগামী কয়েক মাসকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে প্রস্তুত থাকার জন্য ব্রিটিশদের অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় টিকা দেয়া সত্ত্বেও আসন্ন শীতে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আবার মুখে মাস্ক পরা এবং বাসায় বসে কাজ করার নির্দেশ আসবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, বর্তমানে ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ডোজ টিকা বা বুস্টার ডোজ দেয়ার কর্মসূচি এগুচ্ছে খুব ধীর গতিতে। এতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এখনও পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় ব্রিটেনে করোনায় হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এ ছাড়া করোনা সংক্রান্ত এসএজিই কমিটির সদস্যরা সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতের (এনএইচএস) ওপর চাপ কমাতে আরো একবার পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র বলেছেন, নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার পরিকল্পনা বর্তমানে তাদের নেই। সর্বশেষ পরিসংখ্যানের দিকে তারা ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছেন। বিশ্বজুড়ে টিকা দেয়া কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ব্রিটেন থেকেই। তারাই প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়। জনসংখ্যার শতকরা যে পরিমাণকে ডাবল ডোজ টিকা দেয়ার হয়েছে সেই তুলনায় তারা এখন ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ডেইলি টেলিগ্রাফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন