দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২৭ হাজার ৭৮৫ জনের। এর আগে গত ৮ অক্টোবর সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম ৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৪৬৯ জন।
এর আগে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর শনিবার শনাক্ত তিনশর নিচে নামে। ওই সময় ২৯৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে গত ১৫ মে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এরপর গত ১৫ অক্টোবর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চারশর নিচে নেমে এসেছিল। পরদিন তা তিনশরও নিচে নেমে আসে। এরপর রোববার ও সোমবার যথাক্রমে ৩১৪ এবং ৩৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। গতকাল তা আবার চারশ’ ছাড়াল। তবে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ও হার বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৩০৮ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৬৯ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন আরো ৬৯৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৮ জন। গত ৮ অক্টোবরের পর দৈনিক মৃত্যুর এটাই সর্বনিম্ন সংখ্যা। দেশে সাড়ে ছয় মাস পর দৈনিক শনাক্তের হার গত ২১ সেপ্টেম্বর ৫ শতাংশের নিচে নামে। জুলাই মাসে তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন