সিলেটে স্বামীকে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এক স্পেন প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) গেছেন পালিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রাতে স্পেনের পর্যটন নগরী বার্সেলোনায়। এঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ভুক্তভোগী স্বামী মিনহাজুল ইসলাম মুক্তা পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী মুনিরা খানম মুন্নীর বিরুদ্ধেদায়ের করেছেন একটি অভিযোগ।
বার্সেলোনার স্থানীয় একটি হলে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান, ভুক্তভোগী স্বামী মিনহাজুল ইসলাম মুক্তা। মিনহাজ বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইলামের পূত্র। বিয়ানীবাজারের খাসা শহীদ টিলা এলাকায় বিয়ে করেছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুল ইসলাম মুক্তা বলেন, গত ১০ অক্টোবর তারিখে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে স্ত্রী মুন্নী এবং ২ বছরের শিশু সন্তান আয়ানকে নিয়ে যান স্পেনের বার্সেলোনায়। সন্তানসহ স্ত্রী বার্সেলোনায় আসার রাতেই শরবতের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সবার অগোচরে ফ্রান্স প্রবাসী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান মুন্নী। সাথে কওে নিয়ে যান সন্তনকেও। এ সময় দেশ থেকে নিয়ে আসা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ইউরো সহ নিয়ে গেছেন আরোও মূল্যবান সামগ্রি।
মুনিরা খানম মুন্নীকে ‘ভয়ংকর প্রতারক’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজ বলেন, এ সমস্যা পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য তাঁর শ্বশুর বিয়ানীবাজারের খাসা শহীদ টিলার ইকবাল খানের দ্বারস্থ হওয়ার পরও কোন সুষ্ঠু সমাধান পাননি তিনি। আর এ জন্যে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদের মাধ্যমের এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের শরণাপন্ন হয়েছেন। বিয়ে পরবর্তী স্পেনে নিয়ে আসা পর্যন্ত স্ত্রীর পিছনে তার প্রায় ৪০ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশী টাকায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগসহ আইনী প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। উপস্থিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে ভুক্তভোগী মিনহাজ বলেন, তার ধারণা করছেন মুন্নী তার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে সে ফ্রান্স প্রবাসী ও বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা। এ ধরনের লজ্জা ও প্রতারণার ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর কারও সাথে না ঘটে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন তিনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন