শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কমনওয়েলথ ছেড়ে যাচ্ছে মালদ্বীপ

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কমনওয়েলথ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালদ্বীপ। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে কমনওয়েলথ থেকে মালদ্বীপকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের উন্নয়ন না ঘটালে দেশটিকে সংস্থা থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হতে পারে। এরপরই মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হল। ২০১২ সালে মালদ্বীপে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরও গত জুলাইয়ে দেশটিতে মৃত্যুদ-ের বিধান পুনঃপ্রবর্তন করেছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিন। বিরোধী দলের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইয়ামিন প্রশাসন। বিরোধীদের দাবি,  মানিলন্ডারিংসহ বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকা- ধামাচাপা দেওয়ার করছে প্রশাসন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমনওয়েলথ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন কিন্তু এটি অনিবার্য ঘটনা। মালদ্বীপ যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার ও এর উন্নয়ন চেষ্টা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীর যে চেষ্টা করছে দুঃখজনকভাবে কমনওয়েলথ তার স্বীকৃতি দিচ্ছে না। অপর এক খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, কমনওয়েলথের কার্যনির্বাহী কর্তৃপক্ষ (সিএমএজি) তাদের সঙ্গে অন্যায় ও অশোভন আচরণ করেছে। কমনওয়েলথ থেকে সদস্যপদ বাতিলের জন্য বৃহস্পতিবার নেওয়া সিদ্ধান্তটিকে কঠিন তবে অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করেছে মালদ্বীপ সরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে কমনওয়েলথের কার্যনির্বাহী কর্তৃপক্ষের (সিএমএজি) চাপের মুখে রয়েছে মালদ্বীপ সরকার। নাশিদের সমর্থকদের দাবি, সেটি অভ্যুত্থান ছিল। গত ২৩ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপ সরকারকে নোটিশ দেয় সিএমএজি। বলা হয়, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করায় বিরোধী নেতাদের আটক ও বিচার নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে তা ছয় মাসের মধ্যে মীমাংসা করতে। নাশিদের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে তিনবার মালদ্বীপকে আংশিক কিংবা পুরোপুরিভাবে কমনওয়েলথ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ (সিএইচআরআই)-এর এক প্রতিবেদনেও মালদ্বীপে মৌলিক অধিকার ক্ষুণœ হওয়া এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের (বিচারবিভাগ, পুলিশসহ) অপব্যবহারের আরও প্রমাণ তুলে ধরা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপের ওপর চাপ ক্রমাগত জোরালো হতে থাকে। তবে মালদ্বীপ সরকারের অভিযোগ, কমনওয়েলথ মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে এবং নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই গণতন্ত্র উন্নয়নের নামে মালদ্বীপকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন