প্রশ্ন : ছোট বেলায় একজন ১০০ টাকা চুরি করে আমাকে ৫০ টাকা দিয়েছিল। অভাব ছিল তাই নিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই বছর আগে যার টাকা চুরি হয়েছিল, তাকে আমি টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম এবং মাফও চেয়েছিলাম। কিন্তু সে টাকাও নেয়নি মাফও করেনি, এখন আমি কি করব?
উত্তর : অভাবে ছিলেন এবং ছোটবেলা এ কাজটি করেছিলেন। এখন অনুতাপ হচ্ছে। হাদীস শরীফ অনুযায়ী এটিও তওবা। মানুষের হক তওবার দ্বারা মাফ হয় না। এর ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। আপনি ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন। তদুপরি ক্ষমা চাইতে হয়, আপনি তাও করেছেন। এখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উচিত টাকা গ্রহণ করা ও আপনাকে ক্ষমা করা। কিন্তু সে সময় এই একশ টাকার জন্য তার যে ক্ষতি, পেরেশানী ও দুঃখ হয়েছিল তা তিনি ভুলতে পারছেন না। তাই এমন করছেন। আপনি খুব নম্রভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। কাজ হয়ে যাবে। এর পরেও যদি তিনি টাকা ফেরত না নেন, আর ক্ষমাও না করেন তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি তার নামে এ টাকা দান করে দিয়ে বিষয়টি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেবেন। বান্দা মাফ না করলেও আপনার ক্ষতিপূরণ ও অনুতাপের জন্য আল্লাহ আপনাকে দায়মুক্ত করতে পারেন।
প্রশ্ন : বিধর্মীদের উৎসবে চাঁদা দান বৈধ কি না। এখন বিষয়টি প্রায় নরমাল হয়ে গেছে। উৎসব এলেই চাঁদা তোলা হয়। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি চাঁদা দানে উৎসাহ দেন। ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে?
উত্তর : বিধর্মীদের পূজা উপসনায় চাঁদা দেওয়া নিষিদ্ধ ও ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে শিরকের মধ্যে অংশগ্রহণ হয়ে যায়। তবে, তাদের ধর্মীয় বিষয় ছাড়া সামাজিক ও মানবিক কোনো কাজে চাঁদা দেওয়া যায়। যারা উৎসাহিত করেন, তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব রয়েছে। দীনি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে তাদেরকে বোঝাতে হবে। জনগণকেও শিরকের মধ্যে অর্থ সাহায্য দেওয়া আর মানবিক কারণে সাহায্য দেওয়ার মধ্যকার পার্থক্যটি বোঝাতে হবে। খেয়াল রাখা উচিত যে, শিরকওয়ালা ধর্মের সাথে যুক্ত উৎসবও শিরকের অংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন