রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় হিন্দু পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’টি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দিনাজপুর থেকে আল আমিন ও উজ্জল নামের পরিতোষের সহযোগী আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা গত বুধবার রাতে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রংপুরের সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহি খানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তারা। এর আগে পবিত্র কাবা ঘর অবমাননা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পরিতোষ সরকার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার স্বীকারোক্তিতে আল আমিন ও উজ্জ্বলের নাম উল্লেখ করায় এ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দিনাজপুর পুলিশের সহায়তায় কোহারোল এলাকা থেকে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে।
বুধবার বিকেলে তাদের দুজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পরিতোষের সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। এ ছাড়াও এ ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩ জনে।
ওদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য নগদ চাল-ডাল, নগদ অর্থসহ কাঠ-বাস, টিন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা দেয়া অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি মেরামত ও সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে মানবাধিকার কমিশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মালায় ৪২ জনের নামসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন