বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তার পর কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের অনেক বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর হয়েছে, পবিত্র কোরআন ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এসব হয়েছে। তাতে নিহত-আহত হয়েছে অনেক। মামলা ও গ্রেফতারও হয়েছে অনেক। এছাড়া, এই ঘৃণ্যতম ঘটনা নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সরকারি দল বলেছে, বিএনপির ইন্ধনে এই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দল বলেছে, দেশের ভয়াবহ সংকট থেকে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে। ঢাবির শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, নোয়াখালীতে স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ‘তৃতীয় পক্ষ’ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সুযোগ নিয়েছে। বিবিসির খবরে প্রকাশ, বিভিন্ন স্থানে ঘটনার সময় পুলিশের তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি। জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র বলেছেন, কুমিল্লার এমপি ও মেয়রের দ্বন্দ্বের কারণে সেখানে সম্প্রীতি বিরোধী কর্ম ঘটেছে। ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই অপকর্মের পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। অন্য খবরে প্রকাশ, গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যার ভিডিওকে সম্প্রতি নোয়াখালীর যতন সাহার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও বলে কলকাতা থেকে দেবদতা ভৌমিক প্রথমে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। অতঃপর সেটি দেবদাস মণ্ডলও কলকাতা থেকেই টুইটারে ছড়িয়ে দেন। আবার অনেকের অভিমত, দেশে রাজনৈতিক চরম শূন্যতার সুযোগ নেওয়ার জন্যই এটা করেছে তৃতীয় পক্ষ। পুলিশ বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যে কারণেই হোক বা যাদের কারণেই হোক, এই ধর্মীয় সহিংসতায় চরম মর্মাহত হয়েছে দেশবাসী। জাতিসংঘ এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রাজনৈতিক দোষারোপের রেওয়াজ বাদ দিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানিয়েছে টিআইবি। সরকারও বিষয়টি তদন্ত করছে।

বাংলাদেশের এই ব্যতিক্রমী ধর্মীয় সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়েছে। বিজেপি ও তার দোসররা সেখানে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করছে। ফলে সেখানকার মুসলমানরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপরন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পেট্রাপোল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হবে। ফারাক্কার জলও দেয়া হবে না বাংলাদেশকে। বিজেপি এমপি জগন্নাথ সরকার নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দ্রুত কার্যকর করার দাবি করেছেন। বিজেপি সরকারের সময়ে দেশটির উন্নতি হয়নি। উপরন্তু করোনায় অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। ফলে দলটির জনপ্রিয়তা কমছে। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকা ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা ছাড়া বিজেপির বিকল্প কিছু নেই। তাই তারা বাংলাদেশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে স্বীয় স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এদিকে সুযোগে আ’লীগ রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন ৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলেছে। কিছু মন্ত্রীও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উপরন্তু এক প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।

বর্তমান সরকার ইচ্ছে করলেই ৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে পারবে। সংসদে তাদের সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু সেটা হলে দেশে কী অবস্থা তৈরি হতে পারে সে ব্যাপারে ভেবে দেখা দরকার। ইতোমধ্যেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিল করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের উক্ত প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। আ’লীগ নেতা ও ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাঈদ খোকনও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছেন। ইসলামপন্থী দলগুলো এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চুপ রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি চূড়ান্ত হলে তারা আর নিশ্চুপ থাকবে না। উপরন্তু সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও মানুষ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। এ দেশের মানুষ খুবই ধর্মানুরাগী। তাই রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার শুধু ইসলামীপন্থীরাই করে না, গণতান্ত্রিক দলগুলোও করে। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষবাদী দলগুলোও। যার বড় প্রমাণ নির্বাচন। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের মধ্যে বড় দল আ’লীগ। এই দলটিরও নির্বাচনকালের শ্লোগান ও মোনাজাত করার ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখলেই তা প্রমাণিত হয়। এসব করা হয় ধর্মানুরাগী মানুষের ভোট পাওয়ার আশায়। বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদও শেষাবধি ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আ’লীগ, জাপা ও বিএনপি ইসলামপন্থীদের সাথে জোট করে, চুক্তি করে সমর্থন নেয়। অর্থাৎ যারা ভোটের রাজনীতি করেন, তারা সকলেই কম-বেশি ধর্মকে ব্যবহার করেন। অথচ দায়ী করা হয় শুধু ইসলামপন্থীদের! অপরদিকে, ৭২ সালের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেশে যেভাবে রাজনীতি ও নির্বাচন চলছে, সেটা কি গণতন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে?

৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে গেলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চালু হবে। কিন্তু এ দেশে বাঙালি জাতি ছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র জাতি রয়েছে। তারা কি তা মেনে নিবে? ১৯৭৩ সালেই তো তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদ মেনে নেয়নি। তাই এ নিয়ে তখনকার এমপি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সংসদে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, আমরা আমাদের জাতিসত্তা বিলীন করে বাঙালি হবো না, জীবন থাকতেও নয়। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল। তার পরিণতিতে সেখানে হাজার হাজার পুলিশ, সেনা ও বাঙালি নিধন হয়েছিল শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পূর্ব পর্যন্ত। দ্বিতীয়ত: ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মানুষ বাঙালি। তারা রাজ্যটিকে বাংলা নামকরণ করার চেষ্টা করছে। রাজ্যটির মানুষ সারাক্ষণ বাংলা ও বাঙালি বলে জপ করে। তাই বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ বাঙালিতে ফিরে গেলে দেশের মানুষের আইডেনটিটি দুর্বল হয়ে পড়বে। বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হবে।

৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে গেলে সমাজতন্ত্র চালু হবে। তাতে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে! কারণ, স্বাধীনতাত্তোর সমাজতন্ত্রের কারণে দেশের সব শিল্প ও কল-কারখানা এবং ব্যাংক-বীমা জাতীয়করণ করা হয়েছিল। তার ফল মারাত্মক খারাপ হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে শুধু আদমজী জুট মিলের উদাহরণই যথেষ্ট। স্বাধীনতার আগে এই মিলের মালিক ছিলেন এক পাকিস্তানি। মিলটি ছিল বিশ্বের বৃহৎ জুট মিল। চালাতেন বি করিম নামে এক ননবেঙলি। তার দক্ষ পরিচালনায় মিলটি ব্যাপক লাভজনক ছিল। যার কিয়দংশ দিয়ে এ দেশে অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই লাভজনক মিলটিরই ব্যাপক লোকসান শুরু হয়েছিল স্বাধীনতাত্তোর জাতীয়করণ করার পর থেকেই। শেষাবধি মিলটির লোকসানের পরিমাণ আকাশচুম্বী হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে মিলটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।

দেশের উন্নতি হতে হতে আজ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। উপরন্তু ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে ধনী দেশে হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দেশের ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে, যা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের এই অভাবনীয় উন্নতির সিংহভাগের কৃতিত্ব বেসরকারি খাতের। যার যাত্রা শুরু হয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করার পর থেকেই। এই অবস্থায় যদি পুনরায় ৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়া হয়, তাহলে সমাজতন্ত্র চালু করে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। আর সেটা হলে সব প্রতিষ্ঠানকেই আদমজী জুট মিলের ন্যায় ভাগ্য বরণ করতে হবে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র গার্মেন্ট খাতকে জাতীয়করণ করা হোক। তাহলেই দেখা যাবে, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই গার্মেন্ট কারাখানাগুলোতে লাল বাতি জ্বলা শুরু হয়েছে। কারণ, এ দেশের চরম বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারিকা মাল দরিয়ামি ঢাল! এ মানসিকতা শ্রমিক থেকে শুরু করে মালিক এমনকি সরকারের পর্যন্ত।

অপরদিকে, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ থাকলেই যে রাষ্ট্র বা সমাজ ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যায়, সব মানুষ নির্বিঘ্নে তার ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারে, তা নয়। যেমন: ভারত। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। উপরন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। দেশটি গণতন্ত্রের ঐতিহ্যও দীর্ঘ। তবুও, সেখানে কালচার ও রাজনীতিতে ধর্ম সর্বাধিক ফ্যাক্টর। মুসলমান নির্যাতনও সেখানে বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। আর কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে ও টিকে আছে শুধুমাত্র ধর্মীয় উন্মাদনার মাধ্যমেই। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ। এই মসজিদটি ধ্বংস করার আগে লোকসভায় বিজেপির আসন ছিল মাত্র ২টি। আর বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার পর থেকেই দলটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জয়ী হওয়ার জন্য দলটি ধর্মান্ধতার জোর প্রচার শুরু করেছে। বর্তমান দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ও সভ্য বলে খ্যাতি লাভ করেছে পশ্চিমারা। তারা সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষও। তবুও ইউরোপের বহু দেশে মুসলমানরা সর্বাধিক নির্যাতিত হচ্ছে। কয়েকটি দেশে হিজাব ও বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও অন্যরা শপথ গ্রহণ করেন বাইবেলে হাত রেখে। দেশটিতে সম্প্রতি বর্ণবাদীদের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। তাই সংবিধানই আসল নয়, দেশের মানুষের মানসিকতা ও শাসন ব্যবস্থাই হচ্ছে আসল।

যা’হোক, এ দেশের মানুষ বহুকাল থেকেই সকলেই মিলেমিশে থাকে। এখানে জাতি ও ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই। তাই এই দেশ বিশ্বে সম্প্রীতির দেশ বলে খ্যাত। এখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নেই বললেই চলে। তবে রাজনৈতিক হানাহানি আছে কিছু। যা ঘটে সাধারণত: নির্বাচনকালে। তাতে মুসলমান ক্ষতিগ্রস্ত হলে বলা হয় অমুক দলের তমুক আহত-নিহত হয়েছে। আর অমুসলমান ক্ষতিগ্রস্ত হলে বলা হয় সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয়েছে। সম্পদ লুটের ক্ষেত্রেও তাই, যা চরম দ্বিচারিতা। এছাড়া, সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই। ধর্ম যার যার শ্রদ্ধা-সম্মান সবার। এটাই এ দেশের মানুষের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই কাক্সিক্ষত শান্তি ও উন্নতি এবং দেশের ভাবমর্যাদা রক্ষা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও ধর্মগুরুদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। স্মরণীয় যে, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ। পবিত্র ইসলাম হচ্ছে-শান্তি, সাম্য ও সৌহার্দ্যের ধর্ম। এটা সার্বক্ষণিক পালন করা প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব। যা’হোক, সম্প্রীতির বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বানানো যাবে না। তাই সম্প্রতি সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের কঠোর শাস্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু এই ব্যবস্থা রামু, নাসিরনগর ইত্যাদি পূর্ববর্তী ঘটনার ক্ষেত্রে করা হলে হয়তো বর্তমানের ঘটনা ঘটতো না।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন