কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আজম নামে এক যুবককে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হল- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ার মৃত কাইমুদ্দিনের ছেলে স্বপন এবং একই এলাকার মৃত পলান মিস্ত্রির ছেলে ইশারাত মন্ডল। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছে। এ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসকর আলী একই এলাকার মৃত পলান মিস্ত্রির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যাকাণ্ডের পর দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের মাঠের একটি ধান খেতে আজমের লাশ মাটির নিচে পুতে রাখে। পর দিন ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা ও আড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এজের আলী বাদী হয়ে স্বপন, ইশারাত মন্ডল ও আসকর আলীসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আকিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গত বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসকর আলীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন